Tuesday, March 21, 2023
  • Login
No Result
View All Result
Home
BDLAWNEWS.COM
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
No Result
View All Result
BDLAWNEWS.COM
No Result
View All Result
Home আইন পড়াশুনা
তত্ত্বগত ও পদ্ধতিগত আইন সম্পর্কে বিস্তারিত

তত্ত্বগত ও পদ্ধতিগত আইন সম্পর্কে বিস্তারিত

স্ত্রী কর্তৃক তালাক দেওয়ার নিয়মকানুন

by প্রতিবেদক : বার্তা কক্ষ
November 12, 2020
in আইন পড়াশুনা, সদ্যপ্রাপ্ত, সর্বশেষ সংবাদ
0
A A
0
5.2k
VIEWS
Facebook

In this article

স্ত্রী কর্তৃক তালাক দেওয়ার অধিকার

মুসলিম আইনে তালাক দেওয়ার অধিকার

তালাক-ই-তৌফিজ কাকে বলে?

খুলা বিচ্ছেদ/তালাক কাকে বলে?

স্ত্রী কর্তৃক তালাক আদালতের মাধ্যমে

মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ-১৯৬১ অনুযায়ী তালাকের বিধানঃ-

স্ত্রী কর্তৃক তালাক কখন কার্যকর হয় না

বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে খাকবে ?

স্ত্রী কর্তৃক তালাক দিলে দেনমোহর পাবে কি?

স্ত্রী র্কতৃক স্বামীকে তালাক প্রদানের সঠিক পদ্ধতিঃ–

আমরা জানি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যায় কিন্তু আপনি কি জানেন স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়া যায় কি না? এ ব্যাপারে আইনে কি বলা রয়েছে? আধোও কি স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়া সম্ভব? এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে। যদি স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়ার বিধান থাকে তাহলে স্ত্রী কিভাবে স্বামীকে তালাক দিবে এবং স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিলে দেনমোহর পাবে কি? চলুন এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।

স্ত্রী কর্তৃক তালাক
স্ত্রী কর্তৃক তালাক , শেষ ফিরে দেখা!!

স্ত্রী কর্তৃক তালাক দেওয়ার নিয়মকানুন

মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে তালাক রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।ইসলামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ ও ঘৃনিত কাজ হচ্ছে তালাক। বৈবাহিক সম্পর্ক যেন ছিন্ন না হয়, সেজন্য সকল প্রকার চেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম।মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে তালাক রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।

আরবি-তে ‘তালাক’ শব্দের অর্থ হল কোনো কিছু ভেঙ্গে ফেলা বা ছিন্ন করা আরো সহজ কথায় বলা যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করাকে তালাক বলা হয়।

স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক যদি এমন পর্যায় পৌঁছায় যেখানে দুজনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট উপায়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তালাক দেওয়া যেতে পারে।

যদি উভয় পক্ষের একত্রে জীবন যাপন করতে অত্যন্ত কষ্টকর ও অসম্ভব হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করাটা উভয়ের জন্য কল্যাণকর ।সেজন্য ইসলামি শরিয়ত তালাককে বৈধ করেছে।

স্ত্রী কর্তৃক তালাক দেওয়ার অধিকারঃ–

স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক, স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাক, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব, কাজীর দায়িত্ব এই সকল বিষয়ে মুসলিম পারিবারিক আইনে তালাক দেওয়ার অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

BD Law Academy
বিজ্ঞাপন

মুসলিম আইনে তালাক দেওয়ার অধিকারঃ–

মুসলিম আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সমান নয়। এক্ষেত্রে স্বামীর ক্ষমতা / অধিকার বেশি।

স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তালাক-ই-তৌফিজের মাধ্যমে স্ত্রী-স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারবেন।পারষ্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে খুলা বা মুবারত পদ্ধতিতে স্ত্রী-স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারবেন।

স্ত্রী-স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করতে পারবেন এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনই মুবারতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারবেন।

আমাদের দেশে স্বামীরা প্রতিনিয়ত দেখা যায় মুখে মুখে তালাক দিয়ে থাকেন। লোক সমাজে আজও এই ভুল ধারণাটি অনেকের মধ্যে রয়ে গেছে । মনে রাখবেন মুখে পরপর তিনবার ‘তালাক’ শব্দ উচ্চারণ করলে বা একসাথে ‘বায়েন তালাক’ কথাটি বললেই তালাক কার্যকরী হয়ে যায় না।

(১) তালাক–ই–তৌফিজ কাকে বলে?

মনে রাখবেন তালাক-ই-তৌফিজ কিন্তু স্ত্রীর নিজস্ব ক্ষমতা নয়। স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর মতো তালাক দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে স্বামীর মতো তালাকের নোটিশ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাতে হবে এবং এক কপি স্বামীর কাছে পাঠাতে হবে। স্ত্রীর এই তালাক প্রদানের পদ্ধতি বা ক্ষমতাকে তালাক-ই-তৌফিজ বলা হয়।

স্ত্রী কর্তৃক তালাক -ই-তৌফিজের মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারে। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নিকাহ্নামার ১৮ নং ঘরটি  অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পূরণ করা উচিত।

অনেক সময় দেখা যায় কাজীরা এ প্রশ্ন করেন না এবং ঘরটি শূন্য থেকে যায়। কাজীদের অবশ্যই দুই- পক্ষকে দিয়ে ঘরটি সম্পর্কে অবগত করানো উচিত।
নিকাহ্নামার ১৮ নং ঘরে “স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করছে কি না? করে থাকলে কী শর্তে?” এই প্রশ্নটি নিকাহ্নামায় থাকে।

স্বামীর একতরফা ক্ষমতার কারণে স্ত্রীকে বহু নির্যাতন সহ্য করেও স্বামীর সাথে বসবাস করতে হয়।

(২) খুলা বিচ্ছেদ/তালাক কাকে বলে?

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ভাল না থাকলে, তাহলে স্ত্রীর অর্থ বা সম্পত্তির বিনিময়ে স্বামীকে বিচ্ছেদ ঘটাতে রাজী করাতে পারেন।

অধিকাংশ নারীর সম্পত্তি থাকে না বা সম্পত্তি থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকে  না, সেক্ষেত্রে স্ত্রী মোহরানা বা মোহরানার অংশ দিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে রাজী করানোর চেষ্টা করতে পারেন।

খুলার মত মোবারাতও এক ধরণের চুক্তি-ভিত্তিক বিবাহ-বিচ্ছেদ। যখন স্বামী ও স্ত্রী, উভয়ই একে অন্যের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন এবং তাঁরা চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চান, তখন তাকে মোবারাত বলা হয়।

(৩)স্ত্রী কর্তৃক তালাক আদালতের মাধ্যমে: –

১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের অধীন স্ত্রী নিম্নোক্ত ৯টি কারণের যে কোনো একটির ভিত্তিতে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে পারেন: যথাঃ-

(১) দুই বছর ধরে স্ত্রীর খোরপোষ দিতে স্বামী ব্যর্থ হলে।
(২) স্বামী ৪ বছরের অধিক সময় নিরুদ্দেশবা কোন খোজ খবর না থাকলে।
(৩) স্বামীর সাত বছর বা তার বেশি সময় কারাদণ্ড হলে।

(৪) স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান লঙঘন করে অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে।
(৫) কোনো যুক্তি-সঙ্গত কারণ ছাড়া তিন বছর ধরে স্বামী তাঁর দাম্পত্য দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে।
(৬) স্বামী বিয়ের সময় পুরুষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করার সময়পর্যন্ত বজায় থাকলে।

(৭) স্বামী দুই বছর ধরে পাগল থাকলে অথবা মারাত্বক যৌনব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে।
(৮) নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে হয়ে থাকলে অথবা সাবালক হবার পর ১৮ বছর পূর্ণ হবার পর স্ত্রীর বিয়ের কথা অস্বীকার করলে

বিঃদ্রঃ [কিন্তু এক্ষেত্রে স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে থাকলে এরকম মামলা দায়ের করা যাবে না]

স্ত্রী কর্তৃক তালাক
স্ত্রী কর্তৃক তালাক ও সম্পর্ক ছিন্ন

(৯) নিম্নলিখিত যে কোনো একটি কারণে স্ত্রীর সাথে স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ করলে:

উপরোক্ত কারণগুলির ভিত্তিতে মামলা দায়ের করতে হলে স্ত্রীর কাছে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকতে হবে।

(১) যদি স্ত্রীকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হলে।
(২) কুখ্যাত মহিলাদের সঙ্গে স্বামীর মেলামেশা করা কিংবা নৈতিকতা-বর্জিত জীবন যাপন করা হলে।

(৩) নৈতিকতা-বর্জিত জীবন যাপনের জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করা হলে।
(৪) স্ত্রীর সম্পত্তি হস্তান্তর করা হলে।

(৫) স্ত্রীকে তার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেওয়া হলে।
(৬ ) যদি স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকে, তবে পবিত্র কোরানের নির্দেশে তাদের সাথে সমান ব্যবহার না করা না হলে।

মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ–১৯৬১ অনুযায়ী তালাকের বিধানঃ–

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৭ (১) ধারা অনুযায়ী, স্বামী তালাক দেবার পরপরই তালাক দেবার সংবাদটি একটি নোটিশের মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে জানাতে হবে।

যদি কোন ব্যক্তি উপধারার ১ নং বিধান লঙ্ঘন করেন তাহলে সে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড বা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবে।

মনে রাখতে হবে নোটিশ পাবার ত্রিশ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুনর্মিলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সালিশী পরিষদ গঠন করবেন এবং তাঁদের মধ্যে মিমাংসা/সমাধান আনার প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেবেন।

উপধারার ৫ নং বিধান অনুযায়ী অন্য কোনভাবে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে কোন তালাক পূর্বাহ্নে প্রত্যাহার না করা হলে উপধারা ১ অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরিত নোটিসের তারিখ হতে ঌ০ দিন অতিরিক্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত তালাক কার্যকর হবে না।

স্ত্রী কর্তৃক তালাক প্রদানের সময় স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে উপধারা ৩ এ বর্ণিত মেয়াদ বা গর্ভকাল- এই দুই-এর মধ্যে যা পরে হবে তা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।

যদি সালিশে কাজ না হয় এবং নোটিশ দেবার ৯০ দিনের মধ্যে নোটিশ প্রত্যাহার না করেন, তাহলে ৯০ দিন পরে তালাক কার্যকর হবে। ৯০ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত দম্পতিকে আইনসিদ্ধ স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই ধরা হবে এবং স্ত্রী ভরণপোষণ পাবেন।

মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ ১৯৬১ -এর ৭(১) নং ধারা অনুযায়ী – চেয়ারম্যান ও স্ত্রীকে নোটিশ না পাঠালে স্বামী শাস্তি পাবেন ঠিকই, কিন্তু তালাক বাতিল হবে না। তালাক কার্যকরী হবে।

মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বনাম মোছা:হেলেনা বেগম ও অন্যান্য মামলার সিভিল রিভিশন নং ৬৯৮, ১৯৯২ এ মর্মে রায় ঘোষণা হয়েছে।

BD Law Academy
বিজ্ঞাপন

স্ত্রী কর্তৃক তালাক কখন কার্যকর হয় নাঃ–

মনে রাখতে হবে ৯০ দিন পর্যন্ত স্ত্রী পূর্ণ ভরণপোষণ পেতে আইনত হকদার৷গর্ভাবস্থায় তালাক দিলে সন্তান ভূমিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না৷

সেক্ষেত্রে ৯০ দিন এবং সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার মধ্যে যেদিনটি পরে হবে সেদিন থেকে স্ত্রী কর্তৃক তালাক কার্যকর হবে৷ সুতরাং স্ত্রী গর্ভবতী হলে, সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না৷


তালাকপ্রাপ্ত স্বামী–স্ত্রী কি পুনরায় বিয়ে করতে পারবে ?

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশের ৭ (৬) ধারা অনুযায়ী তালাকের মাধ্যমে কোন বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে, তালাক প্রাপ্ত দম্পতি পুনরায় বিবাহ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নতুন করে বিবাহ করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপঃ-
আসাদ তার স্ত্রী জুলেখাকে তালাক দিল। ৫ মাস পর আসাদ বুঝতে পারল যে, তালাক দেয়াটা তার খুব ভূল হয়ে গেছে এবং সে এখনো জুলেখার সাথে বসবাস করতে ইচ্ছুক বা আবার নতুন করে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই ৷এখন তারা যদি আবার একসাথে বসবাস করতে চায় তাহলে তাদেরকে পুনরায় বিয়ে করতে হবে৷

১ঌ৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে হিল্লা বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হিল্লা বিয়ের কোনো দরকার নেই।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে ‘হিল্লা’ নিকাহ্ বলে যে বিবাহ প্রচলিত ছিল, সেটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

হিল্লা বিবাহ সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ। কেউ এ ধরণের বিবাহ ঘটানোর উদ্যোগ নিলে সরাসরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট খবর দেবেন।

অতএব তালাক হওয়া দম্পতি হিল্লা বিয়ে ছাড়াই পুনরায় বিবাহ করে একসাথে বসবাস করতে পারবে।

কিন্তু মনে রাখতে হবে পরপর তিনবার তালাক হলে তৃতীয়বার স্ত্রীকে আরেকজনের সাথে বিয়ে দিয়ে তারপর বিয়ে-বিচ্ছেদ ঘটিয়ে প্রথম স্বামী বিয়ে করতে পারবে।

বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে খাকবে?

বিবাহ-বিচ্ছেদের পর সন্তান মায়ের কাছে থাকবে।বিবাহ-বিচ্ছেদের পরও বাবা ভরণপোষণ দেবে। যদি বাবা দায়িত্ব পালন করতে না পারে বা করতে না চাই সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সালিশী পরিষদের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পারেন।

বিবাহ-বিচ্ছেদের পর ছেলে সন্তান ৭ বছর পর্যন্ত ও মেয়ে সন্তান বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত মায়ের কাছে থাকবে।

স্ত্রী কর্তৃক তালাক দিলে দেনমোহর পাবে কি?

স্বামী যদি দেনমোহর পরিশোধ না করেন তাহলে স্ত্রী আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।মুসলিম আইনানুযায়ী দেনমোহর বিয়ের একটি অন্যতম শর্ত এবং মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার।

বিয়েতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দেনমোহর। স্ত্রীর সঙ্গে সংসার শুরু করার আগে কাবিন হওয়ার পরে ইসলামে দেনমোহর দেয়ার বিধান থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেহমোহর দেয়া হয় না কিন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তালাকের পরে দেনমোহর দেয়া হয় এবং দেনমোহর নিয়ে বিভিন্ন মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে।

অনেকে মনে করেন, স্বামী তালাক দিলে শুধুমাত্র দেনমোহর দিতে হয় কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। দেনমোহরের সঙ্গে তালাকের কোনো সম্পর্ক নেই।

দেনমোহর যেকোনো পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু ম েরাখতে হবে কোনো অবস্থায়ই স্বামী ন্যূনতম ১০ দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ করা যাবে না। দেনমোহর স্বামী কতৃর্ক স্ত্রীকে পরিশোধযোগ্য একটি আইনগত দায়।

মনে রাখবেন স্বামী বা স্ত্রী কর্তৃক তালাক যেই তালাক দিক না কেন দেনমোহর অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।

দেনমোহর পরিশোধের বিকল্প কোনো পথ নেই। তালাকের পরবর্তী সময়ের দেনমোহর পরিশোধের আগে যদি স্বামীর মৃত্যু হয় তবে স্বামীর জমাকৃত নগদ টাকা অথবা প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে স্বামীর স্বজনদের দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে ইসলামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ ও ঘৃনিত কাজ হচ্ছে তালাক। বৈবাহিক সম্পর্ক যেন ছিন্ন না হয়, সেজন্য সকল প্রকার চেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম।

যদি উভয় পক্ষের একত্রে জীবন যাপন করতে অত্যন্ত কষ্টকর ও অসম্ভব হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করাটা উভয়ের জন্য কল্যাণকর ।এজন্য ইসলামি শরিয়ত তালাককে বৈধ করেছে।

মুসলিম আইনে দেনমোহর আর্টিকেলটি পড়তে ক্লিক করুন

লেখকঃ ল ফর ন্যাশনস, ইমেইলঃ lawfornations.abm@gmail.com,  মোবাইল: 01842459590.

আইন সম্পর্কে আরো জানতে বিডি ‘ল’ নিউজ এর সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ

Next Post
ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন এবং বামের উত্থান

ধর্ষণবিরোধী বাংলাদেশ

Discussion about this post

নিউজ আর্কাইভ

March 2023
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
« Feb    
Facebook Youtube RSS


সম্পাদক: এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম,
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

অফিস ঠিকানাঃ

বকাউল ম্যানশন, ৩য় তলা, সেগুন বাগিচা মোড়, ৪২/১/খ, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০ ।
মোবাইলঃ 01842459590

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

No Result
View All Result
  • আন্তর্জাতিক
  • ’ল’ ক্যাম্পাস
  • অনিয়ম
  • অন্যান্য
    • একাদশ নির্বাচন
    • খেলাধুলায় আইন
    • আইন চাকুরী
    • আইন জিজ্ঞাসা
  • আইন পড়াশুনা
  • আইন সংস্থা
  • আইন-আদালত
  • আইনী ভিডিও
  • ইংরেজি
  • উচ্চ আদালত
  • কোর্ট প্রাঙ্গণ
  • খেলাধুলা
  • গুণীজন
  • জাতীয়
  • জেলা আইনজীবী সমিতি
  • দেশ ও দশ
  • দেশ জুড়ে
  • অপরাধ
  • দৈনন্দিন জীবনে আইন
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • বগুড়া
  • বিনোদন
  • ব্লগ
  • মতামত
  • মানবাধিকার
  • রাজনীতি
  • লিগ্যাল নোটিশ
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শীর্ষ সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • যুগান্তকারী রায়

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In