রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী তাদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। তবে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রি একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যশোর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম রোববার দিনগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্বজিৎ রায় খুলনার বটিয়াঘাটা গ্রামের বৃত্তিখলসিগুনিয়া গ্রামের তারকচন্দ্র রায়ের ছেলে। আর সাইদুল ইসলাম ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রামের মুন্সি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
এর আগে, টাকা লুটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নারায়ন চন্দ্র পাল বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে সদর উপজেলার রাজারহাট অগ্রণী ব্যাংক শাখার গ্রিল ও ভল্ট কেটে ২১ লাখ আট হাজার টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের পাঁচ রাউন্ড গুলি লুট করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে সকালে ঘটনাস্থল থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় নৈশপ্রহরী আনসার সদস্য বিশ্বজিৎ ও সাইদুলকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্ধেহ হলে পুলিশ তাদের আটক করে।
এদিকে, টাকা লুটের ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে দু’টি অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর দফতরের (ঢাকা) উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে দুই সদস্যদের কেন্দ্রীয় টিম তদন্ত শেষে রোববার ঢাকায় ফিরেছেন। আগামী মঙ্গলবারের (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
অপরদিকে, অগ্রণী ব্যাংক যশোরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি বসিককের নেতৃত্বে তিন সদস্যের স্থানীয় তদন্ত কমিটি রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
Discussion about this post