পুলিশের রিপোর্টে ‘সচল’ আর সিআইডির রিপোর্টে ‘অচল’ অস্ত্র- এমন রিভলবারটি দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২১ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ অস্ত্র দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আশেক ই রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান (কবীর)।
পরে আশেক ই রসুল সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের রিপোর্টে উদ্ধারকৃত অস্ত্রে ‘ইউএস’ লেখা ছিলো এবং এটাকে ‘সচল’ অস্ত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু সিআইডি অস্ত্রটি নিয়ে করা ব্যালাস্টিক রিপোর্টে বলা হয়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি ছিলো অকেজো (অচল) যার মূল টিগার নষ্ট। এ কারণে অস্ত্রটি আদালতে জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ একটি রিভলবারসহ স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলামকে আটক করে কাফরুল থানার পুলিশ। এ ঘটনায় তাইজুলের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে তাইজুলের জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে জামিন শুনানির সময় তাইজুলের আইনজীবী দাবি করেন তাইজুল থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি ছিলো অকেজো। এটি কোনো সচল অস্ত্র নয়। বরং পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তাইজুলকে ফাঁসানোর জন্য বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট দেয়। অস্ত্রটি যে অকেজো ছিলো তার প্রমাণ সিআইডির ব্যালাস্টিক রিপোর্টে আছে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রেম দাস ও সিআইডির সহকারী কমিশনার জামাল উদ্দিনকে তলব করেন।
রোববার আদালতে হাজির হয়ে সিআইডির সহকারী কমিশনার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর আমাদের কাছে যা পাঠানো হয়, আমরা সে বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকি।’
অপরদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রেম দাস বলেন, অস্ত্রটি বিদেশি ছিলো। আমি যা উদ্ধার করেছি তাই নিয়ে রিপোর্ট করেছি। পরে আদালত আসামিকে জামিন দিয়ে অস্ত্রটি হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।




Discussion about this post