নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন সম্ভব নয়। ‘বিদ্যমান সময়ের মধ্যে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না। এ কারণে, আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদের সভায় এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা চাওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের বিষয়ে ‘যারা অবরোধ করছে, তাদের এই আইন সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই।’
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু আদালতের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কঠোর কোনো শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন তৈরি করা হয়নি। তারপরও তারা (শ্রমিকরা) না বুঝে এই অবরোধ করছে। আমি তাদের অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
এর আগে শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এ ধর্মঘট।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিনের বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আনিসুল হক বলেন, ‘যে জেলায় মামলা হবে, আইনের বিধান অনুসারে সেই জেলার বিচারকদের অধিকার আছে সেই মামলা সম্পর্কে শোনার। সুতরাং মইনুলকে যেখানে মামলা হয়েছে সেখানে যেতে হবে অথবা মামলাটি স্থানান্তর করে ঢাকায় আনতে হবে। আর এ কারণে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘মইনুল হোসেন সম্পর্কে আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে আইনের কোনও ব্যত্যয় হয়নি। বিচার বিভাগ স্বাধীন, সেখানে সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই।’
ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান প্রণেতা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে উনি নিজেই তো সংবিধান মানেন না।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই আইন আর সংশোধনের সুযোগ নেই। এই আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে না।’




Discussion about this post