আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেনশিপ মন্ত্রী অ্যালান টাজ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখার আগেই বহু অভিবাসী স্থায়ী অভিবাসী ভিসা পাচ্ছেন। তবে এই ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা স্থায়ী অভিবাসী ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও কঠোরতা আরোপ করার কথা বলছেন টার্নবুল সরকারের এই মন্ত্রী।
বছরের নির্ধারিত স্থায়ী অভিবাসী ভিসার ‘অ্যানুয়াল ক্যাপ’ বা সর্বোচ্চ সংখ্যা ১৯০,০০০ এর বিপরীতে, গত বছর অস্ট্রেলিয়া প্রায় ১৬২,০০০ জন স্থায়ী অভিবাসী গ্রহণ করেছে। এই সংখ্যা গত দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
টার্নবুল সরকার এর পেছনের কারণ হিসেবে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মের কথা বলেছে। তবে, ইমিগ্রেশন বিভাগের একজন সাবেক কর্মকর্তা এতে সন্তুষ্ট হন নি।
সিটিজেনশিপ মন্ত্রী অ্যালান টাজ বলেন, মোট স্থায়ী অভিবাসী ভিসার প্রায় অর্ধেক প্রদান করা হয় অস্ট্রেলিয়াতে অস্থায়ী ভিসা নিয়ে কয়েক বছর অবস্থান করার পর। আর বাকি অর্ধেক সংখ্যক স্থায়ী অভিবাসী ভিসা প্রদান করা হয় তাদেরকে, যারা অস্ট্রেলিয়াতে এখনও পদার্পণই করে নি। তিনি এই বিষয়টি পছন্দ করেন নি। লন্ডনে যুক্তরাজ্যের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রদত্ত একটি বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে।
পার্মানেন্ট মাইগ্রেশন ভিসার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ হলো বিভিন্ন স্কিলড ভিসা এবং তিন ভাগের বাকি এক ভাগ হলো ফ্যামিলি ভিসা, যার মধ্যে রয়েছে চিলড্রেন, প্যারেন্ট এবং স্পাউজ ক্যাটাগরির ভিসাগুলো।
অফশোর অ্যাপ্লিকেন্ট, অর্থাৎ যারা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে আবেদন করেন, তাদেরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করেন মিস্টার টাজ। তার মতে, অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে তাদের সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
এ মাসের শুরুর দিকে, মিস্টার টাজ পরামর্শ দেন, যারা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি চাইবে তাদের সবার জন্যই নতুন একটি স্পোকেন ইংলিশ টেস্টের প্রবর্তন করতে। শুধু নাগরিকত্বের জন্যই নয়, এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে রিফিউজিরাও। সূত্র: এসবিএস.কম
Discussion about this post