বিডিলনিউজঃ অর্জিত হচ্ছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ই-টিআইএন) এর লক্ষমাত্রা। কারন ই-টিআইএন সংগ্রহ করার সময় আর মাত্র ১২ দিন থাকলেও এখন পর্যন্ত ই-টিআএন সংগ্রহ করেছে মাত্র ৮ লাখ ৯৯ হাজার করদাতা, যেখানে ১৭ লাখ গ্রাহক ই-টিআইএন নিবেন বলে নির্ধারণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো প্রায় ৮ লাখ করদাতার ঘাটতি রয়েছে। এ কারনে ই-টিআএনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জানাযায়, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে অন লাইনে টিআইএন প্রদানে রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করে এনবিআর। অন-লাইনে আগের ১০ ডিজিটের টিআইএন বাতিল করে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ১২ ডিজিটের নম্বর দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করে এনবিআর । কর দাতাদের আগের টিআইএন ৩১ ডিসেম্বরের পর বাতিল বলে গণ্য হবে। পহেলা জানুযায়ী থেকে ১২ ডিজিটের টিআইএন এর মাধ্যমে কর দাতাকে সনাক্ত করা হবে। ইতিমধ্যে অটোমেশনের নতুন টিআইএন গ্রহণের মাধ্যমে কর দাতাদের তথ্য এনবিআরের তথ্য ভান্ডারে সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে যে কোন সময়ই যাতে কর দাতার আয়-ব্যয় সংনন্ত তথ্য রাজস্ব কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখতে পারে।
এনবিআর এক কর্মকর্তা বলেন, “আজকে (গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টা) পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ৯৯ হাজার জন কর দাতা অন লাইনে টিআইএন সংগ্রহ করেছে। ” এর মধ্যে নতুন করদাতা রয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার। আর বাকি ৭ লাখ ৩২ হাজার পুরাতন করদাতা নতুন করে ই-টিআইএন ও টিন নম্বর সংগ্রহ করেছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর থেকে ১৭ লাখ কর দাতা সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সংখ্যক করদাতা টিআইন সংগ্রহ করবেন। কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতায় আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে যারা কর প্রদানে সক্ষম হওয়ার পরও টিন নম্বর সংগ্রহ করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব। নির্বাচন কমিশনের সাথে এনবিআরের চূক্তি হয়েছে, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করতে পারবে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডার থেকে সাধারণ নাগরিকদের আয় ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখে রাজস্ব পরিশোধে সক্ষম কর দাতাদের খুঁজে বের করা হবে।
এনবিআর সূত্র জানায়, টিআইএন ধারীর সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলে এনবিআর কঠোর অবস্থানে যাবে। নতুন পদ্ধতিতে ভূয়া টিআইএন সংগ্রহ করতে পারবে না কেউ। অটোমেশনের মাধ্যমে এনবিআর থেকে স্বয়ক্রিয়ভাবে ভূয়া টিআইএন বাতিলের কাজ চলছে।
Discussion about this post