ডেস্ক রিপোর্ট
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেটশীপ লিখিত পরীক্ষা চালাকালিন সময়ে পাঁচটি কেন্দ্রে গন্ডগোল হওয়ায় ঐ পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষাকে স্থগিত ঘোষণা করে করেছিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কতৃপক্ষ।
পরবর্তীতে এর তারিখ ঘোষণা না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন হওয়ার অপেক্ষায় থাকা হাজার হাজার আইনী শিক্ষার্থী।
তবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এম আমিন উদ্দিন জানান, হল পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
আইন অনুযায়ী ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা গ্রহণের বিধান থাকলেও দীর্ঘ ৩ বছরে একটি পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে পারেনি বার কাউন্সিল। ২০১৯ বছরে ২২ নভেম্বর প্রিলি পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র কঠিনের অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের একাংশ পরীক্ষা বর্জন করেন। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেলা, বিশৃঙ্খলা, কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণাপূর্বক পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের নোটিশ জারি করে বার কাউন্সিল। কেন্দ্রগুলো হলো- রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষা তারিখ অতি দ্রুত ঘোষণা করা হবে মর্মে নোটিশ জারি হলেও এখন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এদিকে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষার প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির ব্যাপারটি বিবেচনা নিয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বনাম দারুল ইহসান মামলায় আপিলেড ডিভিশন ১২টি নির্দেশনার মধ্যে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে এনরোলমেন্ট পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ.এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘অন্যান্য পরীক্ষাগুলো এক সঙ্গে আরম্ভ হওয়ায় কেন্দ্র পেতে কিছটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি পরীক্ষার হল পাওয়া সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত হওয়া পরীক্ষা সমূহ গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post