নিজস্ব প্রতিবেদক:-
গত (২৯, মে) রাত ১১: ১০ মিনিটে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল । অতঃপর বার কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে পূর্বের রেজাল্ট সিটে ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট অপ্রকাশিত অবস্থায় শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করে উল্লেখ করা হয়েছিল ।
রেজাল্ট সিটে ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার্থীর খাতা ৩য় পরীক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য অপেক্ষামান ছিল । অপেক্ষামান ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট ১৬/০৬/২০২১ ইং তারিখ বার কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে । অপেক্ষামান ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩২ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হন।
২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এবার প্রথম প্রকাশিত রেজাল্টে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৩৩৫ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, সে সাথে অপক্ষোমান ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট ১৬/০৬/২০২১ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়। সেখানে অপক্ষোমান ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আরো ১৩২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
১৬/০৬/২০২১ ইং তারিখে প্রকাশিত অপেক্ষামান ২৩০ জনের রেজাল্ট প্রকাশ হবার পরে মোট লিখিত পরীক্ষায় ১২ হাজার ৮৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৪৬৭ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল উক্ত নোটিশে ১৭৫২২ নম্বর রোল উল্লেখিত পরীক্ষার্থীকে বার কাউন্সিলের সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার জন্য তাকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল / উইথহেলড রাখা হয়েছিল , বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট প্রকাশ করেছেন বার কাউন্সিল । নোটিশে ১৭৫২২ নম্বর রোল উল্লেখিত পরীক্ষার্থী পাশ করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেন।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যারকে ফোন করে রেজাল্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে, তিনি বিডি “ল“ নিউজকে বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারণে বার কাউন্সিলের আজকের মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারি নাই । তাই তিনি এই বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
লিখিত পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত করে যে রোল নম্বর গুলো সংযোজন করেছেন তাদের বিষয় গুলো আলোচনা করে উভয় পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট অর্থাৎ সর্বমোট ২৭০ জন পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট একই দিনে বার কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছিল । যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত করে যে রোল নম্বর গুলো সংযোজন করেছেন তাদের রেজাল্টে এবারের নোটিশেও প্রকাশ করা হয় নাই । সুতরাং তাদের বিষয়ে বার কাউন্সিল কি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এই বিষয়ে কোন তথ্য এখনো পাওয়ো যাইনি।
২০১০ সাল পর্যন্ত বছরে দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠান করতো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। তবে ২০১১ সালের পর থেকে আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা তিন ধাপে (নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক) অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়। তবে পিছিয়ে পড়ে বছরে দুটি করে পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম। ফলে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার আইন শিক্ষার্থীর জট তৈরি হয়।
প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী এ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যেকোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদের পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ঘোষণা করা হবে আইনজীবী তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত ফলাফল।
Discussion about this post