Monday, May 12, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Home
BDLAWNEWS.COM
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
No Result
View All Result
BDLAWNEWS.COM
No Result
View All Result
Home আইন জিজ্ঞাসা
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আমরা কতদূর

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আমরা কতদূর

by বিডিএলএন রিপোর্ট
October 14, 2015
in আইন জিজ্ঞাসা, আইন পড়াশুনা, আইন-আদালত, দৈনন্দিন জীবনে আইন, শীর্ষ সংবাদ, সদ্যপ্রাপ্ত, সর্বশেষ সংবাদ
0
A A
0
16
VIEWS
Facebook

ড. বদরুল হাসান কচি

আইনের শাসন অর্থ মানুষের জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম এবং সম্পত্তির ব্যাপারে আইনই সর্বক্ষমতার অধিকারী। বিচারের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করে মানুষকে যেকোনো প্রকার শাস্তি দেয়া যেতে পারে কিন্তু আইন প্রয়োগ না করে কোনো ব্যক্তির খেয়াল খুশি বা ইচ্ছার উপর কোনো ব্যক্তির শাস্তি হতে পারেনা। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আইনের শাসন শব্দ দুইটি অনেক আশা করে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা আছে, ‘…আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে…।’ বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যেকোনো স্থানে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষত আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবেনা যাহাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম, বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’বাংলাদেশ সংবিধানের উল্লেখিত ধারাটি আইনের শাসনের প্রতিই ইঙ্গিত বহন করে।

১৮৮৫ সালে অক্সফোর্ডের বেলিওল কলেজের ভিনেরিয়ান প্রফেসর আলবার্ট ভেন ডাইসি সর্বপ্রথম আইনের শাসন কথাটির নিয়মমাফিক একটি ব্যাখ্যা দেন। আইনের শাসন বলতে তিনি তিনটি উপাদানকে বুঝিয়েছেন- প্রথম, ডাইসি আইনের পরম সার্বভৌমত্বে বা নিয়মিত আইনের প্রাধান্যে বিশ্বাস করেন। তাঁর মতে, ইংল্যান্ডের নাগরিক আইনের দ্বারা শাসিত এবং কেবল আইন ভঙ্গ করার জন্যই তাকে শাস্তি দেওয়া যায়, অন্য কোন কারনে নয়। দ্বিতীয়, ডাইসি মনে করেন, ইংল্যান্ডের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং সকল শ্রেণীর মানুষ সাধারন আইনের অধীন, এবং আইনের প্রতি আনুগত্য থেকে রাষ্ট্রের কর্মচারী বা কেউই কোনো রেয়াত বা অব্যাহতি পাবে না। শেষে ডাইসি মনে করেন, দেশের প্রজার অধিকারের সাধারণ আইনের ফলশ্রুতি হচ্ছে সংবিধান, অর্থাৎ সংবিধান ব্যক্তি- অধিকারের উৎস নয়, বরং তার ফল।

ডাইসির কল্যানে প্রথমে ইংরেজভাষী জগতে, পরে মহাদেশীয় ইউরোপে এবং অবশেষে প্রায় সর্বত্র আইনের শাসন কথাটির ব্যাপক প্রচলন ঘটে। আইনের শাসনের বৈশিষ্ট্য হলো- ব্যক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার চলবে না, সরকার চলবে পূর্ব নির্ধারিত ও অনুমোদিত আইন দ্বারা। একই সুরে এরিস্টটলও বলেছেন, ‘আইনই শাসন করবে, যারা ক্ষমতায় তারা হবেন servants of law.’

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আমাদের পথচলা কতদূর? এমন প্রশ্নের এক বাক্যে কোন উত্তর নেই। কারন হিসেবে পেছনে রয়েছে নানাবিধ ঘটনা-দুর্ঘটনা। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা ইতিহাসের বর্বরোচিত এক কালো অধ্যায়। আমার বিবেচনায় তারচেয়েও নোংরা এবং কদর্য ঘটনাছিল এইবিচারের পথকে বাধা গ্রস্তকরা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ। এটা সভ্য পৃথিবীতে একটি নজির বিহীন ঘটনা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার রহিত করা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো- খোন্দকার মোশতাক এই অধ্যাদেশটি জারি করেছিলেন, জিয়াউর রহমান অধ্যাদেশটিকে কার্যকর রাখেন।  এরশাদ এই কলঙ্কের বোঝা নয় বছর বয়ে খালেদা জিয়ার কাঁধে তুলে দেন। এই ঘৃণ্য আইন বাতিল না করার দায় ‘৭৫ থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত কোনো বৈধ-অবৈধ সরকারই এড়াতে পারেনা।২০০১ এ আবার বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন আশা করা হয়েছিল, বিএনপি স্বাভাবিক বিচারের পথ বাধাগ্রস্ত করবেনা। কিন্তু বিএনপি বিচার বিভাগকে এমনভাবে বিন্যস্ত করে যেন এই বিচার না হয়। বিএনপির পর ড. ফখরুদ্দীন আহমদের দুই বছর মেয়াদের অনির্বাচিত সরকারও  এধারা অব্যাহত রাখে। দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামীলীগ ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় এসে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং কয়েকজনের দণ্ড কার্যকর করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ঘটে যাওয়া এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যকর পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আমাদের আরেকটি বড় অর্জন স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের মুখোমুখি করা। বিচার করতে পারবেনা বলে যুদ্ধাপরাধী এই চক্র দাম্ভিকতা দেখিয়ে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছিলেন। বিচারের কার্যক্রমকে মূল্যহীন ও বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দালাল নিয়োগ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক নানা সংগঠন ও উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণা হওয়ার পর এই রকম নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্তের ঘটনা আমরা দেখেছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক এতো চাপের মুখেও বিচারের কার্যক্রম সচল রাখার সরকারি নীতি থেকে চুল পরিমাণ নড়াতে পারেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কারন তাঁর দল ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তরুন ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এবং কেননা এই প্রজন্মের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের মুখোমুখি করা। আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তরুন ভোটারদের সেই দাবীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তরুন প্রজন্ম কতোটা মরিয়া তা ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনাটি সকলকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। যুদ্ধাপরাধবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল থেকে ১৯৭১ সালের কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষিত হওয়ার পর এই রায় প্রত্যাখ্যান করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পরবর্তীতে বিশাল গণজাগরণের সূচনা হয়। স্বাধীন দেশের পরবর্তী প্রজন্মের এই গণজাগরণ ও তাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে আবেগ-আপ্লুত বক্তব্য দিয়েছেন এবং তিনি পুনরায় জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছিলেন তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে যারা বেঈমানি করেছেন তাদের উপযুক্ত বিচার করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির সার্থক কার্যকারিতা আমরা দেখছি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় দেয়া হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে এক বিশাল অন্তরায়, যা থেকে আমরা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে পারছি।

আজ বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোতে জঙ্গিবাদ মাথা ব্যাথার কারন হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিনরা প্রতিদিন কোটি কোটি ডলার খরচ করছেন এই জঙ্গিবাদ দমনের প্রয়াসে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের মসজিদে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান আজ দেশ হিসেবে অস্তিত্ব সংকটে; নিয়মিত জঙ্গি হামলায় পুরো দেশ ক্ষতবিক্ষত। সেই বিবেচনায় মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কতোটা শান্তিতে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু এই শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে সুদক্ষ নেতৃত্ব দেখিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গিবাদ দমনে এই অর্জনের সাধুবাদ তাঁকে না জানালেই নয়। কেননা জঙ্গিবাদ নিয়ে এইদেশও মারাত্মক হুমকির মধ্যে ছিলো যা আমাদের অজানা নয়। আমরা যদি অতীতে দৃষ্টিপাত করি তাহলে স্মৃতিতে স্পষ্ট ভেসে উঠে সেই সকল ভয়ার্ত জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো। ২০০০ সালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনার বটমূলে জঙ্গি হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্টে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে জঙ্গি হামলা, ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারাদেশে একই সময়ে বোমা হামলার ঘটনা। দেশব্যাপী তারা কতোটা শক্ত অবস্থান তৈরি করলে এমন বড় বড় ঘটনা ঘটাতে পারে তা আর অস্পষ্ট নয়। ২০০১ থেকে এধরনের ছোট বড় অসংখ্য ঘটনা প্রমাণ করে বিএনপি-জামাত ক্ষমতাথাকাকালীন সময়ে সরকারি মদদে হোক বা আসকারাতে হোক তখন দেশে জঙ্গি চাষাবাদ হয়েছিলো। খালেদা জিয়া সরকারের টেকনোকেট কোঁটায় মন্ত্রী হওয়া তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আলী আহসান মুজাহিদ শত শত ধর্মীয় এনজিও অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং ঐসকল এনজিও বিভিন্ন আরব দেশ থেকে শত শত কোটি টাকা বিদেশ থেকে অর্থ এনে দেশব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করেছেন। ক্ষমতা পরবর্তীতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদন্তে এইসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যার ফলে এইসকল জঙ্গিগোষ্ঠীর মূল উৎপাড়ন পুরোপুরিভাবে এখনো সম্ভব হয়নি। তারা এখন নাস্তিকতার দোয়াই দিয়ে ব্লগার লেখক সংগঠকদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে অথবা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই অবস্থার উত্তরণের কথা ভেবে বর্তমান সরকার গত মেয়াদে ক্ষমতা আসার পর অনেক গুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯’ নামে একটি আইন তৈরি করা। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো শক্তিশালী করা হয়। প্রচলিত আইনের পাশাপাশি কঠোর শাস্তি বিধান সম্বলিত এই আইনের মাধ্যমে জঙ্গিদের বিচার করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তাদের সকল প্রকার অর্থায়ন উৎস। আইনে অর্থদাতাদেরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে এটা শেখ হাসিনা সরকারের বিশাল অর্জন।

নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে আইনের শাসনও সুদৃঢ় হয়না। একথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকারগুলো এখনো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই পথে আমাদের আরো পথ হাঁটতে হবে। তবে নাগরিক হিসেবে আমরা আশাবাদী এই পথচলাও একদিন শেষ হবে।

নাগরিক অধিকার সুরক্ষা ও জনগণের অধিকার সংরক্ষণের দুটি প্রতিষ্ঠান হলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথম একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ১৯৯৯ নামে একটি খসড়া আইন তৈরি হয় যা ১২ এপ্রিল ১৯৯৯ তৎকালীন মন্ত্রীপরিষদ অনুমোদন করে। কিন্তু পরবর্তীতে এটি আর সংসদে উত্থাপিত হয়নি। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০০৭ নামক একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং উক্ত অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দিয়ে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ পাশ করা হয়। মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও মানবাধিকার যথাযথভাবে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিশন কাজ করছেন। মানবাধিকার প্রশ্নে সরকারের অনেক সিদ্ধাতে কমিশন হস্তক্ষেপ করেন। যদিও কমিশনের কার্যক্রম খুব একটা সন্তোষজনক নয়। তারপরও বলা যায় মানবাধিকার সুরক্ষার জন্যে জনগণের একটি আশ্রয়তো আছে; হয়ত পুরোপুরি সুফল পেতে আমাদের আরো অপেক্ষায় থাকতে হবে।

দেশে দুর্নীতি এবং দুর্নীতিমূলক কাজ প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি ও অন্যান্য সুনির্দিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান এবং তদন্ত পরিচালনার জন্য ২০০৪ সালে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে আইন তৈরি করা হয়। সাংবিধানিক ভাবে স্বাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই কিছু কিছু ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগে জনগণের পুরোপুরি আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তবে কমিশন স্বাধীনভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করার চেষ্টা করছেন। সাদা চোখে তাদের অর্জন হয়তো দৃশ্যমান নয়, কিন্তু সামগ্রিক অর্থে কমিশনের নজরদারির ফলে দেশে দুর্নীতিবাজেরা আতঙ্কে থাকেন। ব্যাক্তিগত ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনে সন্দেহভাজনদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়। বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইনটিকে সংশোধন করে আরো শক্তিশালী করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমিশনকে সবচেয়ে বেশী স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেখা গেছে শেখ হাসিনা সরকারের বর্তমান মেয়াদে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত মেয়াদের বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদুকে জবাবদিহি দিতে দেখা গেছে। বর্তমান সংসদের এক সদস্যকে দুদুকের মামলায় জেলে যেতে হয়েছে। দুদুকের মামলায় হলমার্কের চেয়ারম্যান এমডি জেলে আছেন। সাবেক সেনা প্রধান হওয়া সত্ত্বেও ডেসটিনি’র চেয়ারম্যানকে জেলে যেতে হয়েছে। এতিমদের জন্যে জিয়া অরফানেস ট্রাষ্টের নামে বিদেশ থেকে আসা টাকা দুর্নীতি করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এধরনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। আমরা যেহেতু এতো দূর আসতে পেরেছি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও ভবিষ্যতে কাউকে ‘ক্লিন পারসন’ হিসেবে দুদুক সার্টিফিকেট দিবে না এমন দিনটিও আশা করি আমরা দেখতে পাবো।

দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়াসে আমাদের আরেকটি বড় অর্জন তথ্য অধিকার আইন তৈরি করা। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলা আছে, জনগণই হবে প্রজাতন্ত্রের মালিক। এই অনুচ্ছেদের আলোকে তথ্যের মালিক জনগণ। জনগণের তথ্য-অধিকার, সংশ্লিষ্ট করতিপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সংবিধানে মৌলিক অধিকার রূপে স্বীকৃত চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ জাতীয় সংসদ দ্বারা পাশ করা হয়।

বলতে দ্বিধা নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে ২০০৮ থেকে বর্তমান মেয়াদ অবধি সময়কালে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আমাদের অর্জন কম নয়। তবে খুব সন্তোষজনক বলাও যাবে না। যদি বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসা যায় এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠাগুলোকে আরো স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিলে সেই গন্তব্যে আমরা সহসাই পোঁছতে পারবো।

 

লেখক: আইনজীবী ও সম্পাদক ল’ইয়ার্সক্লাববাংলাদেশ.কম; নির্বাহী পরিচালক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সপ্ন’। 

Next Post
পৌর নির্বাচনেও অংশ নিতে পারছে না জামায়াত

পৌর নির্বাচনেও অংশ নিতে পারছে না জামায়াত

Discussion about this post

নিউজ আর্কাইভ

May 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« Oct    
Facebook Youtube RSS


সম্পাদক: এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম,
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

অফিস ঠিকানাঃ

বকাউল ম্যানশন, ৩য় তলা, সেগুন বাগিচা মোড়, ৪২/১/খ, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০ ।
মোবাইলঃ 01842459590

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

No Result
View All Result
  • আন্তর্জাতিক
  • ’ল’ ক্যাম্পাস
  • অনিয়ম
  • অন্যান্য
    • একাদশ নির্বাচন
    • খেলাধুলায় আইন
    • আইন চাকুরী
    • আইন জিজ্ঞাসা
  • আইন পড়াশুনা
  • আইন সংস্থা
  • আইন-আদালত
  • আইনী ভিডিও
  • ইংরেজি
  • উচ্চ আদালত
  • কোর্ট প্রাঙ্গণ
  • খেলাধুলা
  • গুণীজন
  • জাতীয়
  • জেলা আইনজীবী সমিতি
  • দেশ ও দশ
  • দেশ জুড়ে
  • অপরাধ
  • দৈনন্দিন জীবনে আইন
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • বগুড়া
  • বিনোদন
  • ব্লগ
  • মতামত
  • মানবাধিকার
  • রাজনীতি
  • লিগ্যাল নোটিশ
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শীর্ষ সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • যুগান্তকারী রায়

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In