বিডি ল নিউজঃ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপির এই নেতা বর্তমানে ভারতের এই রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজওনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেসে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা থেকে অন্তর্ধানের দুই মাস পর গত ১১ মে বাংলাদেশের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে মেঘালয় পুলিশ আটক করে। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বর্তমানে শিলং রয়েছেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র রোববার জানিয়েছে, বাংলাদেশের এই রাজনীতিকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলছেন।
৫৪ বছর বয়সী সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি এই রকম থাকলে সোমবার সকাল ১০টায় তাকে মেঘালয়ের আদালতে হাজির করতে চায় পুলিশ।
তবে সালাহ উদ্দিনের পরিবারের নিয়োগ করা আইনজীবী এসপি মোহন্ত বলেছেন, তার মক্কেলকে আদালতে নেওয়ার বিষয়ে পুলিশের পরিকল্পনার বিষয়ে কিছুই তিনি জানেন না।
তবে চিকিৎসকরা অনুমতি দিলে পুলিশ তা করতে পারে বলে মানছেন এই আইনজীবী।
বাংলাদেশে সরকারবিরোধী দলের নেতা সালাহ উদ্দিনকে আদালতে নেওয়ার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মেঘালয়ের পুলিশ কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা, সালাহ উদ্দিনের এই মামলা নিয়ে যতই দেরি হবে, পুলিশের জন্য জটিলতা ততই বাড়বে।
মেঘালয় পুলিশ বিএনপির এই নেতাকে আদালতে নিতে চায় এবং তদন্ত করে বের করতে চায়, কিভাবে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে ঢুকলেন।
সালাহ উদ্দিন দাবি করেছেন, গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে একদল ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে। এরপর কিভাবে তিনি শিলং এলেন, তার কিছুই তিনি মনে করতে পারছেন না।
সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড।
সালাহ উদ্দিনকে আদালতে নিতে পুলিশ চাইলেও তার পুরোটিই নির্ভর করছে চিকিৎসকদের উপর। তার হৃদযন্ত্র ও কিডনির কিছু সমস্যা রয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে।
মেঘালয় পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেছেন, সালাহ উদ্দিন বেশ অসুস্থ, আর এই বিবেচনায় আদালত তাকে জামিন দিতে পারে।
হাসিনা আহমেদ স্বামীর জামিন আবেদন জানিয়ে গত শুক্রবারই শিলংয়ের আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। ২৯ মে এর শুনানির দিন ঠিক রয়েছে।
আবেদনে তিনি বলেছেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সালাহ উদ্দিন ভারতে ঢোকেননি। তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
সালাহ উদ্দিনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে চান তার স্ত্রী। সেজন্য সেই দেশে তার আগের চিকিৎসার কাগজপত্রও দিয়েছেন তিনি।
Discussion about this post