নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ থেকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) এর বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এরও আগে প্রায় দেড় বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচার কাজ চলেছে।
২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর দুদিন পর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

পরে ওই বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয় এবং ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মহামারির দুঃসময়ে দেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে।
প্রথমে দেশের অধস্তন (নিম্ন) আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীসময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পরে ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে। একপর্যায়ে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবার সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি করা হয়।
ভার্চুয়াল কোর্টে এখন পর্যন্ত ২ লাখ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
Discussion about this post