গত সোমবার মধ্য রাতে মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার গোপালপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে আটক করা হয় খালেদ সাইফুল্লাহ জামিল নামে এ যুবককে।
বুধবার রাত পর্যন্ত আটক যুবকের কোনো খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ জামিল মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
সোমবার রাতে তাকে আটকের সময় আলোচিত ‘কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টা ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফাহিম’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর থানার এসআই বারেক করিমসহ মাদারীপুর ও কালকিনির ৮/১০ জন পুলিশের সদস্য ছিলেন বলে খালেদের পরিবার দাবি করেন।
তবে এই আটকের বিষয়ে গত সোমবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর পুলিশ বিভাগের কেউই আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি। ফলে আতঙ্কে রয়েছে খালেদের পরিবার।
পুলিশ আটকের বিষয়টি অস্বীকার করলেও ধারণা করা হচ্ছে কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেই খালেদকে আটক করা হয়েছে।
খালেদের পরিবার ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত ২টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর বড় মসজিদ থেকে খালেদ সাইফুল্লাহ জামিলকে আটক করে পুলিশ। এ সময় কালকিনি ও মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের সদস্যরা ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। তিনি ওই মসজিদে তারাবির নামাজে ইমামতি করতেন। পরে রাতেই পুলিশ জামিলের বাবা বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা বাসাতেও তল্লাশি চালিয়ে চলে যায়।
এর আগে রাত ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ খালেদের বন্ধু কালকিনি থানার কাছে বাঁশতলা মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ পারভেজ ও তারাবির নামাজের ইমাম সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে। এরপর পুলিশ খালেদ সাইফুল্লাহ জামিলের মামা গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম রসুলের কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এই তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তার বাবা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘রাতে প্রথমে আমার শ্যালক গোলাম রসুলকে সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে বাসায় আসে একদল পুলিশ। তারা আমার ছেলে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়। বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র তল্লাশি শেষে তারা চলে যায়। তারা আমার ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহ জামিলকে এর আগেই কালকিনি থেকে ধরে নিয়ে যায়।’
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, ‘আটকের বিষয়টি তার জানা নেই।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের জানান, এ ধরনের কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ কিছু জানে না। যদি ঢাকা থেকে কোনও টিম এসে আটক বা গ্রেপ্তার করে তবে তা আলাদা বিষয়। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্যও নেই।
Discussion about this post