যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে আদালত কক্ষেই এক আসামির ওপর চড়াও হয়েছেন একজন বিচারক। ওই আসামির সঙ্গে কথা বলার সময় ক্রমেই হতাশ হচ্ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে নিজের আসন ছেড়ে হ্যান্ডকাপ পরিহিত ওই আসামির ওপর চড়াও হন তিনি। এ ঘটনা গত ডিসেম্বরের হলেও চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে বিষয়টি সামনে আসে। এমলাইভ ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটে ওই ভিডিওটি প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বিচারক আদালত কক্ষের পরিবেশকে শারীরিকভাবে মোকাবিলা করছেন। সেই বিচারকের অন্তত একজন সহকর্মী দাবি করেছেন, ওই ঘটনা সমর্থনযোগ্য ছিল।
চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আসামি জ্যাকব লারসন কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারক জন ম্যাকবেইন-এর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তোলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আসন ছেড়ে আসামির ওপর চড়াও হন বিচারক।
ওই শুনানি ছিল আসামি জ্যাকব লারসন-এর ওই নারীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা ভঙ্গের। লারসন-এর পাশে ওই নারীও বসা ছিলেন। তবে ভিডিওতে তার মুখমণ্ডল ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, শান্ত পরিবেশেই আদালতে শুনানি শুরু হয়। তবে আসামি দ্রুত বিচারকের প্রতি একের পর এক প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন। ফেসবুকে ওই নারীকে পাঠানো বিচারকের মেসেজ সম্পর্কে জানতে চান আসামি জ্যাকব লারসন।
কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারক জন ম্যাকবেইন আসামিকে বলেন, আমি তোমাকে শেষবারের মতো সতর্ক করছি। এ সময় তিনি ১৯৮৭ সালের একটি মুভিরও উদাহরণ দেন।
বিচারক তাকে বলেন, ‘আমি তোমাকে বলেছি শুধু ওকে ত্যাগ কর। সে তোমাদের সহপাঠী ছিল। দৃশ্যত তার কোনও আগ্রহ নেই।’
বিচারককে মাঝপথে বাধা দিয়ে ওই নারীর দিকে ইঙ্গিত করে লারসন বলেন, আমি চাই সে আমাকে এটা বলুক যে, আমি যেন তাকে ত্যাগ করি। এরপর বিরক্ত হয়ে পড়েন বিচারক ম্যাকবেইন। লক্ষ্যণীয়ভাবে তার আওয়াজ প্রখর হয়ে উঠলো। ম্যাকবেইন বলেন, ‘তুমি কি জান? আমি তোমাকে তাকে ছেড়ে যেতে বলেছি। তোমাকে আমি যেটা ভালোভাবে বলেছি তুমি তাতে কর্ণপাত করনি। ফলে আজ তুমি তিনদিনের জন্য জেলে যাচ্ছ।’
এসব কথোপথনের মধ্যেই ওই নারীকে নিয়ে বিচারক সম্পর্কে মন্তব্য ছুড়তে থাকেন আসামি লারসন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিচারক তার কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বিচারক ম্যাকবেইন বলেন, ‘৪৫ দিন … ৯৩ দিন কাউন্টি কারাগারে। তুমি এক বছরের জন্য যেতে চাইছ? এখন থেকেই সেটা চেষ্টা কর।’ সূত্র: এনডিটিভি।
/
Discussion about this post