নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যাসিনো ব্যবসা ও জি কে শামীমসহ অন্যান্য ঠিকাদারী কাজে অনিয়মের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৪ নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। এর আগে একই অভিযোগে গতকাল গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শওকত উল্লাহ, মো. ফজলুল হক, আব্দুল কাদের চৌধুরী ও মো. আফসার উদ্দিন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৮টি মামলা দায়ের করে দুদক।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান এবং গণপূর্তের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী মোছা. জেসমীন পারভীন ।
কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।




Discussion about this post