নানা প্রতিবন্ধকতা ও আইনি জটিলতায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালসহ দেশের আটটি আদালতে বেহাল দশা পরিলক্ষিত হয়। আদালতগুলোতে অনেক সময় চেয়ারম্যান থাকেন না। আবার অনেক সময় সদস্যরাও (মেম্বার) থাকেন অনুপস্থিত। এতে কোর্ট গঠন হয় না। ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রতা বেড়ে যায়।
জানতে চাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অধীর চন্দ্র বালা গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালসহ সারা দেশের আটটি আদালতে মোট ১৬ হাজার আটটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে তিন হাজার ৭৫৫টি, ঢাকার দ্বিতীয় শ্রম আদালতে পাঁচ হাজার ৩৬৯, ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে তিন হাজার ৭৫৯, চট্টগ্রাম প্রথম শ্রম আদালতে এক হাজার ১০৩, চট্টগ্রাম দ্বিতীয় শ্রম আদালতে ৬৫১, খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে ৩৮৯, রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতে ২৪৮টি মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার মধ্যে ১১ হাজার ৮৭২টি মামলা ছয় মাসের অধিক সময় ধরে চলমান। এছাড়া উচ্চ আদালতের আদেশে ৩০৫টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
শ্রম আইনে মামলার দীর্ঘসূত্রতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল হক বলেন, ‘শ্রম আইনে মামলাসমূহ ৬০ দিনে নিষ্পত্তি করার নিয়ম। কিন্তু ৬০ মাসেও এসব মামলা নিষ্পত্তি হয় না। দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলাজট বাড়ছে এবং মামলা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী আদালতে দুজন সদস্য থাকেন। তাদের অনুপস্থিতির জন্য অনেক সময় মামলা বিলম্ব হয়। আবার অনেক সময় মালিক পক্ষের অনুরোধে আইনজীবীরা বিলম্ব করেন।’
Discussion about this post