ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা বরকতুল্লাহ। রাজধানীর চকবাজার থানায় আজ সোমবার সন্ধ্যায় মামলাটি করেন তিনি। মামলায় মেহেদীকে প্রধান ও ফুয়াদকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।
আবরারের বাবা জানান, কিসের জন্য তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে কিছুই তার জানা নেই। তবে তার ছেলের হত্যার ঘটনায় তিনি ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে এই ১৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, দিবাগত রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
এ ঘটনার সিসিটিভির সব ফুটেজ প্রকাশ করতে শিক্ষার্থীরা দাবি তোলেন। কিন্তু শের-ই বাংলা হল প্রশাসন ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করতে অনীহা দেখায়। তারা বলে, পুলিশ ভিডিও ফুটেজ নিয়ে গেছে। শেষপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সম্পূর্ণ ভিডিও দেয় প্রশাসন।
এদিকে আবরারকে পিটিয়ে হত্যায় বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত পুলিশ ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাউল ইসলাম জিওন এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকারের নাম জানা গেছে।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১-এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।




Discussion about this post