নিজস্ব প্রতিবেদক: কথিত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম ও এলিও সরকার স্বপন আমির হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে ফোনে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আমির হোসেন বাদি হয়ে, বিবাধী ১। এলিও সরকার পিতাঃ সুবোল সরকার,২।মোঃ রফিকুল ইসলাম পিতাঃ আব্দুল হাকিম মোল্লা,৩। রিবান পিতাঃ অজ্ঞাত ৪। এফ এম আনসারী পিতাঃ অজ্ঞাত,সর্ব সাং-অজ্ঞাত,এই ৪ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানায় একটি জিড়ি করেন। জিডি নং ২২১,তারিখ- ০৪/০৭/২০১৯ইং।
জানা গেছে, রাজউকের বিভিন্ন জোনাল অফিসে ঘুরে ঘুরে নিজেদের রাজউক কর্তৃক বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয দিয়ে রাজউকের নিয়ন্ত্রনাধীন এরিয়াতে নবনির্মীতব্য ভবন দেখে অথবা রাজউকের দু একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর সাথে ম্যনেজ প্রক্রিয়ায় ভালো সর্ম্পক্য করার নামে তথ্য সংগ্রহ করে নির্মনাধীন নতুন ভবনের মার্লিকদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন ও আইন শৃক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তুরায় বসা অথবা তাদের নির্দ্দিষ্ট কোন জায়গায় বসতে বাধ্য করেন এক সময়ের হোটেলের গ্লাস বয় রফিকুল ও তার বর্তমান সহযোগী এলিও সরকার স্বপন।
সুত্র জানায়, এই রফিকুল ইসলাম ও এলিও সরকার স্বপন এর সিন্ডিকেটটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ “রাজউক”এর নিয়ন্ত্রনাধীন এরিয়া ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন নতুন নতুন ভবন নির্মাণাধীন ভবন খুজে বেড়ান এবং তারা আরো খুজে বেড়ান নবনির্মীতব্য ভবনের মালিক বা মালিক পক্ষের কোন আত্মীয় সরকারী চাকুরীজিবী পাওয়া যায় কিনা? যদি পাওয়ায যায় তাহলে তাকে হাতিয়ার বানীয়ে তাঁর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের ব্যক্তিগত একাদিক মোবাইল নাম্বার থেকে তাকে ফোন করে দেশের বড় বড় পত্রিকা ও টিভি চ্যেণেলের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা করার জন্য বারংবার ফোনের মাধ্যমে ডাকেন ।যদি কখনো দেখা করতে না চান তাহলে পরদিনই তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রধান করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২/৭/২০১৯ ইং তারিখে দক্ষিনখান থানাধীন ফায়দাবাদ এলাকার এ পি এস গার্মেন্টস সংলগ্ন জিন্নাত সুলতানা পান্না’র ১০১প্লট (জিডি’র ঠিকানা বর্তমান ১৬৩৫১/উ ফায়দাবাদ,দক্ষিনখান,ঢাকা) উপর নব নির্মীত ভবনের কিছু ছবি তোলেন দেখে বাড়ির কেয়ারটেকার দিপু এগিয়ে আসলে তার কাছ থেকে ভবনের তথ্য সংগ্রহের নামে মালিকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে জিন্নাত সুলতানা পান্না বিদেশে থাকেন বলায়, ভবনের দায়িত্বে রয়েছেন তারই ভাই মোঃ আমির হোসেন। তিনি বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের একজন ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে সরকারী চাকুরী করেন বলে তার নাম্বার সংগ্রহ করে। আমির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮১৯৪৮৪৯৩৪ নাম্বারে এই সিন্ডিকেট তাদের একাধিক নাম্বার (০১৮৫৫৬১২৮৫৬,০১৭১০৮৭০২১০,০১৮২১৬৫৫৭০০) থেকে গত ২/৭/১৯ ইং হইতে ৪/৭/১৯ ইং পর্যন্ত প্রায় ২০/৩০ বার ফোন করে আমির হোসেনকে কখনো প্রান্তপথ আবার কখনো মিরপুর ডাকা হয়। আমির হোসেন ভয়ে দূরে কোথাও যেতে রাজি না হওয়ায় গত ৪/৭/১৯ ইং তারিখে সন্ধাআনুমানিক ৭:১৬ ঘটিকার সময় আমির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ০১৮২১৬৫৫৭০০ নাম্বার থেকে ফোন করে তার পরিচয় গোপন রেখে বলেন আপনি আমির হোসেন সাহেবকে একটা সুযোগ দিয়েছিলাম আপনার ভবন বাচানোর জন্য আপনি তা গ্রহন করলেন না,আমরা যা বুঝলাম আপনার ভবন নিয়ে এখন আর আপনার কোন চিন্তা নাই। তো ভাইজান আপনি ভাইবেন না আমাদেরও আপনার ভবন নিয়ে আর কোন ইন্টারেষ্ট নাই তবে এখন থেকে দেখবেন নতুন খেলা। আমরা এখন থেকে আরম্ব করলাম আপনি সরকারী চাকুরী করেন এটা আপনার অপরাধ ,আপনি যদি আমাদের সাথে দেখা না করেন তা হলে আগামী কাল থেকে আপনার ছবি দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে ৩০টি পত্রিকায় নিউজ করবো এই পর্যন্ত আপনি চাকুরী করা কালিন সময়ে ঢাকা শহরে কয়টি বাড়ি করেছেন এবং কয়টি প্লাট ও প্লট কিনেছেন তা নিয়ে আমরা দুদকে যাবো। আপনাকেও দুদকে ডাকাবো।
এ বিষয়ে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি এখনো জিডিটি হাতে পাইনি হাতে নিয়ে আপনাকে বিষয়টি জানাবো।
Discussion about this post