নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি দুটি নয়, ১২০টি ভিডিও গোপনে ধারণ করেছিলো সিরাজুল ইসলাম সজীব। আড়ংয়ের নারীকর্মীদের চেঞ্জ রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় এসব ভিডিও করেছিল সে। এরপর ভিকটিমদের কাছে সেই ভিডিও ফেসবুকের মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে কখনও অর্থ দাবি কখনও বিকৃত চাহিদার কথা জানাতো তাদের। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি।
গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীতে আড়ংয়ের বনানী শাখায় এক নারী বিক্রয় কর্মীর গোপন ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মী সিরাজুল ইসলাম সজীব। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে এক নারীকর্মীর ভিডিও করার অভিযোগে ডিসেম্বর মাসে সজীবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানিয়েছে, আড়ংয়ে চাকরিরত অবস্থায় সজীব চতুর্থ তলার কর্মচারী পোশাক পরিবর্তন কক্ষের বাইরের সানসেট-এ দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে নারী কর্মচারীদের অজান্তে তাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার ভিডিও ধারণ করতো। তার কাছ থেকে ১৩ জন নারীকর্মীর ১২০টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইবার ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম জানান, আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মীকে গ্রেফতারের পর এখন আমরা আরও অতিরিক্ত কিছু তথ্য পেয়েছি। আগে আমরা জানতাম এ ঘটনার ভিকটিম (শিকার) একজন। কিন্তু এখন আমরা জানতে পেরেছি এ ধরনের ঘটনা আরও আছে। এ বিষয়ে আড়ং স্ব-উদ্যোগে আমাদের কাছে এসে বিষয়টি অবহিত করেছে। তারা আসামির বিষয়ে সব ধরনের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছে।
সজীব নামের ওই যুবক গত ১১ জানুয়ারি রাতে এক তরুণীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও পাঠান। ১৬ জানুয়ারি ওই তরুণী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এ ঘটনায় আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার আশরাফুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, মামলাটি দায়ের করার ব্যাপারে অভিযোগকারীকে শুরু থেকেই সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে আসছি।




Discussion about this post