সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ায় প্রায় এক হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কনস্টেবল তাইজুউদ্দীন (২৯) ও সহযোগীকে তার এক আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার ভোরে আশুলিয়ার চাঁনগাঁও এলাকা থেকে তাইজুউদ্দীনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল বাশার।
তিনি জানান, মাদক বিক্রেতাদের হাতে ইয়াবার চালান তুলে দিতেই সাভারের আশুলিয়ার চাঁনগাঁও এলাকায় এসেছিলেন সিআইডির কনস্টেবল তাইজুদ্দীন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি অটোরিকশা থেকে প্রথমে তাকে আটক করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তাকে মাদক বিক্রেতা মনে করেছিলাম। পরে সে নিজেকে সিআইডি পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। পরে ঢাকা উত্তর জোনের এএসপি জহিরউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাইজুউদ্দীনের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, তাইজুদ্দীনের বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার উত্তর সালনা গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পুলিশ সদস্যের পরিচয় ব্যবহার করে ইয়াবা বেচাকেনায় জড়িত। তার মোবাইল ফোন নম্বরের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ডিবি উত্তর ঢাকা জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) গনি মিয়া বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে রংপুরের পীরগাছা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক উপ-পরিদর্শক পুলিশ (এসআই) ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাদুলষ্কর এলাকার নুরুল ইসলামে ছেলে মামুন মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আরিফ হোসেন, সাইফুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান, আকতার ভূঁইয়ার ছেলে পিয়াল ও অন্নদানগরের আফসার ভূঁইয়ার ছেলে পিংকু। গ্রেফতার সকলেই পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও ইয়াবার পরিমাণ নিয়ে তথ্য দিতে অপারগতা দেখিয়েছেন থানার ওসি। তবে থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়েছে। তবে পীরগাছায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা জানান, পুলিশ কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই ইজ্জত আলী থেকে ১৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করলেও পীরগাছা থানার পুলিশ জব্দ তালিকায় মাত্র ২৫০ পিস ইয়াবা দেখিয়েছে।




Discussion about this post