ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ জনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নন ডা. সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক। উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
প্রণব কান্তি ভৌমিক বলেন, এই রায় ত্রুটিপূর্ণ। তিনটি ধারায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে সাজা দেওয়ার কোনো গ্রাউন্ড ছিল না। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৬৯ পাতার একটি আর্গুমেন্ট করেছি আদালতে। কিন্তু আমি সুচিন্তিতভাবে বলতে পারি, আমাদের আর্গুমেন্টকে অ্যাপ্রিসিয়েশন করতে আদালত সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে একটি রায় দিয়েছেন। এই মামলা অনেক বেশি আলোচিত হওয়ায় ডা. সাবরিনাকে সাজা দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনেই বলা আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত অরিজিনাল কাগজ না পাওয়া যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফটোকপি দিয়ে কারো বিচার করা যাবে না। এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়েছি, উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।
Discussion about this post