বিডি ল নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্মাদ আখ্যায়িত করে তার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই উন্মাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের বাঁচাতে হবে।পাশাপাশি বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কথা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সাথে বসবো? আমার তো মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়ার কাছে বসতে গেলে বার্ন ইউনিটের পোড়া মানুষের গন্ধ পাওয়া যাবে।
দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রবিবার কার্যপ্রণালী বিধি-৬৮ বিধি অনুসারে’ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী একটি নোটিশের উপর আলোচনাকালে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
খালেদার প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়ি ছেড়ে তিনি অফিসে কেন? সেখানে কাদের পাহারা দিচ্ছেন। সেখানে বসে টেলিফোন করে সংহিসতা, মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, অনেকে বলছে অফিসে খাবার ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অফিসে খাবার যাবে কেন? একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে ৫০/৬০জন লোক কী করে? তারা কি রাজনৈতিক কর্মী নাকি সন্ত্রাসী, জঙ্গি। সংসদে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। তারা কি রাজনৈতিক কর্মী না কি জঙ্গি। এদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে তাও দেখতে হবে।
বিভিন্ন মহল থেকে সংলাপের প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংলাপ করলেই কী হবে? তিনি তো মানবেন না। এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন সেই মামলা হয়েছে। সেই মামলা থেকে তিনি বাঁচার চেষ্টা করছেন। মানি লন্ডারিং মামলা হয়েছে তার ছেলের বিরুদ্ধে, সেটা থেকে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এটাই তো তার ইস্যু আর তো কোনো ইস্যু নেই। তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে আসেননি। নির্বাচনে না আসায় এখন তার হা-হুতাশ বেড়েছে। আর হতাশার আগুনে তিনি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ মারছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, খালেদা জিয়া নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য যেকোন কাজ করতে পারেন। ২০১৩ সালে আমি সব রকম চেষ্টা করেছি। সংলাপের কথাও বলেছি কিন্তু তিনি আসেননি।
তিনি বলেন, আমরা বাধ্য হচ্ছি পরীক্ষা পিছিয়ে এমন সময় নিতে যাতে তারা নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি দল তার সঙ্গে আরও কিছু এক জোট হয়ে প্রতিনিয়ত অবরোধ-হরতাল ডাকছে। কিন্তু এই অবরোধ-হরতালে তাদের মাঠে দেখা যায় না। চোরাগুপ্তা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। এই মানুষ হত্যার সময় কাকে মারছে সে বিষয়ে কিছুই তারা দেখে না। নারী-শিশু, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ তাদের এই আঘাতে হয় মৃত্যুবরণ করছে, না হয় পুড়ে অঙ্গার হয়েছে অথবা মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করছে। এটা অমানবিক দৃশ্য।
Discussion about this post