নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনিয়ম হলে প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু কোনো অনিয়মের সাথে আপস করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
বুধবার আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা নির্বাচন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো রিটার্নিং অফিসার মনে করেন যে তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই তাহলে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই। যদি কখনো কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থীর, দলের বা কেউ কারো অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয আইন ব্যত্যয়কারী কোনো ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়মের সাথে আপস করা যাবে না।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য সিইসি বলেন, এজেন্টদেরকে নিয়ে সব সময় আপনাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন সেজন্য তাদেরকে উৎসাহিত করবেন। এজেন্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট থাকা এবং যাওয়ার দায়িত্ব তো আপনারা নিতে পারেন না। সেটা প্রার্থীর বিষয়। প্রার্থীদেরকে উৎসাহিত করবেন যাতে তারা এজেন্ট দেয়। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে এটা দেখবেন।
সিইসি বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন যে তাদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। আপনারা যদি না পাঠান তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কিভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে যে তাদেরকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয় না। এর অনেকগুলোই সঠিক না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post