আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিনদফা সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারীদের পুরো মুখ ঢেকে নেকাব পরা নিষিদ্ধ করেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউসেফ চাহেদ শুক্রবার (৫ জুলাই) এ ঘোষণা দেন। গত মঙ্গলবার এক পলাতক সন্ত্রাসী নেকাব পরে আত্মঘাতি বোমা হামলার পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চাহেদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি বা প্রশাসনিক ভবন ও প্রতিষ্ঠানে নেকাব পরে শুধু চোখ বের করে মুখের বাকি অংশ ঢেকে কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। এ সিদ্ধান্ত কর্মী-দর্শনার্থী সবার জন্য প্রযোজ্য।
সাম্প্রতিক সময়ে তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশ শহরে তিন দফা বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী নেকাব পরা ছিল। যদিও এই তিনটি হামলায় দায় স্বীকার নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর তিউনিশিয়ায় রেকর্ডসংখ্যক দর্শনাথী বেড়াতে যান। কিন্তু অব্যাহত এই বোমা হামলার কারণে দর্শানার্থীর সংখ্যা কমে আসছে।
২০১১ সাল পর্যন্ত তিউনিসিয়ায় হিজাব, নেকাব, মাথার স্কার্ফ সবই নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘদিনের ধর্মনিরপেক্ষ সরকারে প্রেসিডেন্ট জাইন আল আবিদিন বেন আলীর পতনের পর ফের নেকাব পরার অনুমতি দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয় বেন আলীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনে আভিযান চালিয়ে আসছে তিউনিশিয়া সরকার। এর আগে ইউরোপের আরো বেশ কযেকটি দেশে নেকাব নিসিদ্ধ করা হয়।
Discussion about this post