ডেস্ক রিপোর্ট
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে করা রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস রিজেক্ট) করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ২ এপ্রিল মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে আর কোনো বাধা নেই।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে বুধবার (২৩ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী মুনতাসির মাহমুদ রহমান।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসির মাহমুদ রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।এর আগে জনস্বার্থে রোববার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়।
তাইমুর খান বাপ্পির পক্ষে রিটটি করেন আইনজীবী মুনতাসির মাহমুদ রহমান। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।আইনজীবী বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও কোন বিবেচনায় মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাই রিটে পরীক্ষা পেছানোর দাবি করা হয়।
এর আগে ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।এছাড়া টিএসসি, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনও করেন তারা। তাতেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় আদালতে রিট করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবির কথা তুলে ধরে আইনজীবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে ঈদের পর। তাহলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন এত আগে? এতে তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, আগের নিয়মেই এবারও ভর্তি পরীক্ষা নেবে দেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে ২ এপ্রিল দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস এবং ৩০ এপ্রিল ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোর বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।গত ৪ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
Discussion about this post