বিডি ল নিউজঃ
২৬ জানুয়ারি ভারতের মাটিতে ফের বড়সড় নাশকতার ছক করছে জঙ্গিরা। নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছে ১০ পাকিস্তানি জঙ্গি। বিহারের রকসৌলে তারা ঘাঁটি গেড়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর।
জানা গেছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফরিদাবাদ ও গাজিয়াবাদে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছে জঙ্গিরা। তাদের নিশানায় রয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর এবং বিভিন্ন রেল স্টেশন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সাহায্য নিয়েই রকসৌলে ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা।
পাশাপাশি ফরিদাবাদ ও বিজনোরেও কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, ১১ ডিসেম্বর করাচি থেকে জঙ্গিরা রওনা হয়েছিল। ২০ তারিখ নেপাল সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে ঢোকে। নাশকতার আশঙ্কায় ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের এই সতর্কবাণী আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সরকার। গাজিয়াবাদ ও বিজনোরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে রাজস্থান ও হরিয়ানা এটিএস-এর কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ)।
গোয়েন্দাদের অনুমান, সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। আগামী ২৬ জানুয়ারি তিনি দিল্লিতে থাকবেন। সেই সময়ই জঙ্গিরা নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ফলে, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে যে সিমি জঙ্গিরা সন্দেহের নিশানায়, তাদের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ছবি দেশজুড়ে সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। এবছর সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে এই জঙ্গিদের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। জঙ্গিরা তাদের এক আহত সঙ্গীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেই ক্লিনিকেই তাদের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়। এখন যাতে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়, সেজন্য ছবিগুলি ভারতজুড়ে সব গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post