দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (০২ জুন) আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার (০১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া শাররীকভাবে সুস্থ থাকলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে আদালতে পৌঁছুবেন।’
মামলার কার্যক্রম সম্পর্কে ওই আইনজীবী বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানির জন্য থাকলেও এদিন তার পক্ষে সময় আবেদন করা হবে। কারণ তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরার জন্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করা হয়েছে। যা এখন বিচারাধীন।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলাটির অভিযোগ গঠন হয় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ।
বেগম জিয়া ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।




Discussion about this post