নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ লেনদেন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ২৪ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, মো. নিজামুল হক, শফিউল আলম, হুমায়ুর কবির, মো. সফিউল আলম, মেসার্স গ্যাবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. কাসিফ ফোরকান, এমআর কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন শাহ। এবং কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে সাইফুল ইসলাম, ফাহাদ আবেদীন সোহান, জ্যোতির্ময় সাহা, মো. আবুল হাসনাত সোহাগ, মো. মমিনুল ইসলাম, মির্জা মো. আহসানুজ্জামান, এমএ আলীম, মো. মুসা ভূঁইয়া, মইনুল আলম চৌধুরী, হাজী ফোরকান আহমেদ ও মো. সাইফুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাগুলো করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমদানিকৃত পণ্য খালাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক। নানা পণ্য আমদানির ২০টি চালানে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ২০টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুদক প্রধান কার্যালয়। এ চক্রে রয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তা, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সিগুলোর স্বত্বাধিকারীও।
এর আগে এমন ১৫ কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এবং তাদের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে নয়জনকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ কাস্টমসের স্টাফ শাখায় দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) নাজিম উদ্দিনের অফিসকক্ষের আলমিরায় তল্লাশি করে ঘুষের নগদ ছয় লাখ টাকা পায় দুদক। একই সময় রাজস্ব কর্মকর্তা আমজাদ হাজারীর স্ত্রীর নামে তিন কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ থাকায় স্ত্রীসহ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে দুদক।




Discussion about this post