মইন উদ্দিন ইলাহী,কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনটি তাজা ককটেল উদ্ধার। প্রতিবাদে কুবি শাখা ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ।আজ সকাল ৯টার দিকে কুবির বিভিন্ন ভবন থেকে তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যসরা প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন (দক্ষিন) ও একাডেমিক ভবনের (উত্তর) কলাপসিবল গেট থেকে ককটেল তিনটি উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ১০ থেকে ১২জন মুখোশ পরিহিত র্দুবৃত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবন গুলোতে তালা (তালার সাথে ককটেল পেচানো ছিল) লাগিয়ে দেয়। তালার পাশেই ‘ধর্মঘট ছাত্রদল’ লেখা একটি পোষ্টার সাটিয়ে দেয় তারা। ঘটনায় আতঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ দিকে ককটেল উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারন শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রশাসনের দুর্বলতাকে দায়ী করে বিক্ষভ মিছিল করে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যার্থ হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাশকতার উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। গভীর রাতে টার মুখোশধারী দূর্বৃত্ত এসে একাডেমিক ভবনসহ প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় এবং তালার সাথে ককটেল পেচিয়ে রাখে। ভবনে তালা ও ককটেলের খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে আসেন। পরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশের একটি দল ও র্যাব-১১ থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ককটেল গুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পরিবহনের বাস বন্ধ করে দিলে চরম ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থীরা। নাশকতার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে ককটেল রাখার জন্য ছাত্রদলকে দ্বায়ী করে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ও উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়।
সহকারি প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের কাজ নিঃসন্দেহে একটি গর্হিত অপরাধ। শীঘ্রই দোষীদের খুঁজে আইনের আওতায় আনা হবে।’
ককটেল উদ্ধার ও মামলার বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবনের কলাপসিবল গেট থেকে তালা কেটে আমরা তিনটি শক্তিশালী ককটেল উদ্ধার করি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’




Discussion about this post