বিরোধ মীমাংসার বৈঠকের সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন জামাইকে পিটিয়ে ও বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরের ফৌজদারী এলাকায় কুমিল্লার সাবেক পিপি মুজিবুর রহমানের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান সবুজ বুড়িচং ফকিরবাজার এলাকার মাধবপুর গ্রামের আ. বাকেরের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের চাচা মো. সুলতান মিয়া জানান, এক বছর আগে দেবিদ্বার উপজেলার শাহাজাহান মিয়ার মেয়ে ফাহিমা আক্তারকে প্রেম করে বিয়ে করে সবুজ। কিন্তু এ বিয়েতে ফাহিমার পরিবারের সম্মতি ছিল না। বিয়ের পর থেকেই তাদের এ সম্পর্ক ছিন্ন করতে নানা চেষ্টা করছিল মেয়ের পরিবার। এরপর সবুজের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় একটি অপহরণ মামলাও করা হয়। এদিকে ফাহিমা অন্তঃসত্ত্বা হলে ৩ মাসের বাচ্চাকে এমআর করে অপসারণ করা হয়।এ সবুজ-ফাহিমার মধ্যেও বিরোধ সৃষ্টি হয়। সুলতান মিয়া জানান, সোমবার রাতে কুমিল্লায় অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমানের চেম্বারে উভয়ের মধ্যে বিষয়টির মীমাংসা করতে স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠক ডাকা হয়।বৈঠকের এক পর্যায়ে ফাহিমার বাবা শাহাজাহান মিয়া, ভাই আরমান, চাচা বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন সবুজকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওই চেম্বারের ওয়াশরুমে নিয়ে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্বজনরা সবুজকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সালিশের এক পর্যায়ে আমরা এশার নামাজ পড়তে যাই। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তাদের চলে যেতে বলেছি, আর কিছু জানিনা। কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।




Discussion about this post