কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক ব্যক্তি তিন নারী ও এক শিশুকে গলাকেটে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। স্থানীয় জনগণের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ঘাতক মোখলেসুর রহমান (৩৫)। ঘাতক মোখলেসুর পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। তাঁর বাবার নাম মরতুজা আলী।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামের পুকুরিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নাজমা বেগম (৪০), মাজেদা বেগম (৬৫), আনোয়ারা বেগম (৪৫) ও আবু হানিফ (১০)।
স্থানীয়দের বরাতে দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উত্তেজিত জনতা হত্যাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। তিনি মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভোরে বাড়িতে ঢুকে চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। এ সময় গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, সকালে মোখলেসুর বাড়িতে এসে ঘর থেকে দা নিয়ে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বাসায় ঢোকে। ঘরে থাকা নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগমকে আচমকা কোপাতে শুরু করে। নুরুল ইসলাম স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে মোখলেস। তাদের আর্তচিৎকারে নুরুল ইসলামের মা মাজেদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এর পর মোখলেস রক্তমাখা দা নিয়ে যায় আরেক প্রতিবেশী শাহ আলমের বাড়িতে। সেখানে শাহ আলমের ছেলে স্কুলছাত্র আবু হানিফকে (১০) জবাই করে হত্যা করে। ছেলেকে বাঁচাতে এলে শাহ আলমের স্ত্রী আনু বেগমকেও জবাই করে মোখলেস।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন মোখলেসকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশীরা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা ও মা মাজেদা বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা নাজমা ও মাজেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম নুরুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের খবরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Discussion about this post