কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘণ্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ চলে।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর, আজাদ, মাসুদুর রহমান, মেজবাহ ও সোহেল। এদের মধ্যে আজাদ পায়ে ও মেজবাহর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাকিরা ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ দু’জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নবীর চা দোকানে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ নিয়ন্ত্রিত কাজী নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাসের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী নিয়ন্ত্রিত বঙ্গবন্ধু ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
রেজা-ই-এলাহী বলেন, সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ৫/৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের চার নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে নাজমুল হাসান আলিফ বলেন, আমরা কোনো গুলিবর্ষণ করিনি। স্থানীয় ছেলেরা অপর পক্ষের হয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। আমাদের গ্রুপের মেজবাহ হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত। কেউ আহত হয়েছে কিনা বা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা জানি না। আমরা ঘটনাস্থলে আহত কাউকে পাইনি।




Discussion about this post