নিজস্ব প্রতিবেদক: কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে ১১৮ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক পরিচালক আলী আহসান বাবু ও ডিজিএম ইফতেখার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে সকালে দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত কার্যালয়ে এ দুজনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিমানের কার্গো হ্যান্ডেলিং চার্জ বাবদ ১১৮ কোটা টাকা আদায় না করে সরকারের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়। এদের মধ্যে আলী আহসান ও ইফতেখার হোসেনকে আজ দুদকে তলব করেন। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো পরিবহনে সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিকল্পনার অভাবে বিভিন্ন সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) ম. হাবিবুল্লাহ আকন্দ, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও বর্তমানে সৌদি আরবে কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও বর্তমানে সৌদি আরবের শহর রিয়াদের রিজিওনাল ম্যানেজার আমিনুল হক ভূঁইয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব হাসান, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দীন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক অনুপ কুমার বড়ুয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক কে এন আলম, কার্গো আমদানি শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ মজুমদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এ কে এম মনজুরুল হক এবং সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান।
উল্লেখ্য, বিমানের অভ্যন্তরীণ নীরিক্ষার হিসাব মতে, ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ ৭৬ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ১০ বছরে উল্লেখিত খাত থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
Discussion about this post