নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণই হবে ক্ষমতার মালিক। দেশের মালিক হওয়ার জন্য লাখ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিল। সংবিধানে জনগণকে দেশের মালিকানা দেয়া হলেও স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সময় এসেছে জনগণের মালিকানা বুঝে নেয়ার।
ইশতেহার ঘোষণার আগে বক্তৃতায় ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মালিকানা জনগণের বুঝে নেয়ার।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা শুরু হয়।
বক্তৃতায় ড. কামাল বলেন, জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনে জয়ী হলে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া হবে।
জনগণের ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়া, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানসহ ঐক্যফ্রন্টের ১৪ প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন ড. কামাল হোসেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উঠেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এরপর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা।
এর আগে জোটের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ইশতেহার ঘোষণার কথা বললেও পরে তা স্থগিত করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ ও ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিক উল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।




Discussion about this post