নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি শেষে আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই এক আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, বিষয়টি ৩১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি রাখা হল। এর মধ্যে শুনানি শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। এরপর সময় বৃদ্ধি চেয়ে ২৬ জুলাই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি আজ পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১২ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আপিল শুনানি শুরু হয়। সোমবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি, বাকি তিনজন পলাতক।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
Discussion about this post