নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার আমাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার যত চেষ্টাই করুক না কেন আমরা নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাবো না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো। এবং জয়ী হয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কথা এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পার্টি থেকে আমাকে বলা হয়েছে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার কথা আমরা কখন ভাবিনি। আজকেও এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তাকে বাদ দিয়ে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা সরকারের যে অপকৌশল, নির্বাচনের ঠিক পূর্বে এ রায় ঘোষণা করার অর্থ হচ্ছে দেশনেত্রীকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। এসময় বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।
তিনি বলেন, ‘গোটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বিএনপিকে, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার। তারই অংশ হিসেবে এ আদেশ, এ রায় হয়েছে। আমি গতকালই বলেছি, বাংলাদেশের জনগণ এ রায়, এ আদেশ মানবে না, মানে না, গ্রহণ করে না। আমরা তারপরও বলেছি যে, আমরা এ নির্বাচনকে আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছি।’
তিনি আরো বলেন, তার শূন্য আসন বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে আমাকে নির্বাচন করার জন্য পার্টি থেকে বলা হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে আমাদের বগুড়ার নেতৃবৃন্দ এয়ারপোর্টে এসেছিলেন। তাদেরকে ফরম ফিলাপ করে দিয়েছি জমা দেয়ার জন্য। আমি আশা করছি বগুড়া-৬ থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, আজকে এই ফরমে সই করতে গিয়ে আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হয়েছি। নেতারাও ভারাক্রান্ত হয়েছে। আমরা পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে ভরসা রাখছি যে, আগামী নির্বাচনে আমাদের জয় ইনশা আল্লাহ হবেই। এর পর তিনি সৈয়দপুর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য।
এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দপুর পৌর মেয়র ও নীলফামারী-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ জনাব আমজাদ হোসেন সরকার, পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জিয়াউল হক জিয়া, দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্যপ্রার্থী আখতারজ্জামান মিয়াসহ ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ। এসময় বিমানবন্দর থেকে সৈয়দপুর শহরের ক্যান্টনমেন্ট রোড হয়ে দিনাজপুর রোড ও রাবেয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে নেতাকর্মী-সমর্থকরা হাতে ধানের শীষ নিয়ে অভ্যর্থনা জানান।




Discussion about this post