নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এবিএম মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। তিনি চাইলে হাসপাতাল ছাড়তে পারেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৫ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি আর্থাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি পর গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের প্রধান হলেন- ডা. জিলন মিঞা।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. তানজিমা পারভিন, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহামুদ। এ ছাড়া ডা. শামিম আহমেদ এবং ডা. মামুন মেডিকেল বোর্ডকে সহযোগিতা করছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। ওই রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। বিএসএমএমইউতে স্থানান্তরের আগে তিনি সেখানেই বন্দি ছিলেন।
এদিকে বিএনপির নেতারা দাবি করে আসছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে।
বিএনপির নেতারা আরো বলেন, বিএসএমইউতে তো চিকিৎসার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিই নেই। সেখানে সর্বোচ্চ চিকিৎসা হলে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের চিকিৎসা দিতে কেন সিঙ্গাপুর নেয়া হয়? তারা কারাবন্দি থাকাবস্থায় স্কয়ার ও ল্যাব এইডে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল কেন? আমি তথ্যমন্ত্রীকে বলবো-আপনি রোজা-রমজানের দিনেও স্বভাবগত মিথ্যাচার পরিত্যাগ করতে পারেননি। বেগম খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ কেন, ন্যুনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও পাচ্ছেন না।
তারা অভিযোগ করেন, প্রকৃতপক্ষে বিএসএমইউ হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার নামমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে। সেখানে ভর্তির পর এখনও তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না, কিছু খেতে পারছেন না, হাত পা নাড়াতে পারছেন না। তাকে কারাগারে নেয়ার তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না, সরকারের প্রধানের প্রতিহিংসার আগুনে কারাবন্দি থাকার কারণেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা তুষের আগুনের মতো সবসময় ধিকিধিকি করে জ্বলছে। বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূলের নীতি যতক্ষণ সার্থক না হচ্ছে ততক্ষণ তার এই আগুন নিভবে না।
Discussion about this post