আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মোদি সরকারের আমলে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি, বিশেষ করে ভিড় জমিয়ে মুসলিমদের মারধর ঠেকাতে গণপিটুনি বন্ধ করতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে, তা জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আজ শনিবার এর ভিত্তিতেই দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ কেন্দ্র ও ১০টি রাজ্যের কাছে জবাব চেয়েছেন। একই সঙ্গে সেই নির্দেশের কতটা পালন হয়েছে, তা জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
মুসলিম নারীদের অধিকারের কথা বলে মোদি সরকার তিন তালাকে শাস্তির বিল আনছে। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি, বিশেষ করে ভিড় জমিয়ে মুসলিমদের মারধরের ঘটনা পুর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ সত্ত্বেও মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনো আইন আনছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে তিন তালাক বিলের বিতর্কে বিরোধী দলের এমপিরা মোদি সরকারকে এ নিয়ে প্রশ্নও করেছিলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন হচ্ছে না অভিযোগ তুলে একটি সংগঠন এ নিয়ে জনস্বার্থে মামলা করে।
এক বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ সুপারিশ করেছিলেন, দেশে গণপিটুনি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন আনুক। গণপিটুনি রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর জন্য নির্দেশিকাও তৈরি করে দিয়েছিল।
শীর্ষ আদালতের সুপারিশ ছিল, সংসদে গণপিটুনি রুখতে আইন তৈরি হোক। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা হোক। বিশেষ আইন হলে মানুষের মনে এই হিংসায় জড়িয়ে পড়ার আগে ভয় তৈরি হবে। ২০১৮-র ১৭ জুলাই ওই রায় হলেও গত এক বছরে মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ করেনি। গণপিটুনিও বন্ধ হয়নি। উল্টে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দিয়ে মুসলিমদের মারধরের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।
Discussion about this post