নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নিতে গণভবনে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সংলাপে অংশ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য সংবিধানের ভেতরে থেকেই প্রস্তাব দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা তফসিল পিছিয়ে দেয়ার পাশাপাশি আলোচনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করবেন।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত সংলাপ। এতে দুই পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। দেশের সবার দৃষ্টি আজকের এই সংলাপের ওপর।
সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের প্রতিনিধিদলে যে ১১ জন থাকবেন, তারা হলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, স ম রেজাউল করিম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন। তাদের নেতৃত্বে থাকবেন শেখ হাসিনা।
সংবিধানের মধ্যেই সমাধানের অংশ হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তবে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রেট কোটায় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করতে হবে। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এ শর্তগুলো পূরণ হলে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে ঐক্যফ্রন্ট। তারা মনে করেন শর্তগুলো মানার জন্য সংবিধান সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই। সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান বর্তমান সংবিধানেই আছে।
বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আজকের সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন।
সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলবে। এই সরকার কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এর বাইরে নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা বলেন, প্রথমদিনের সংলাপে দেয়া ৭ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে আজকের সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর অভিমত আমরা জানতে চাইব। দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা অনড় থাকব। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয় কিনা এর ওপর ভিত্তি করে আলোচনা হতে পারে।
১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আলোচনা। এরপর ২ নভেম্বর বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় যুক্তফ্রন্ট, ৪ নভেম্বর ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট, ৫ নভেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোট, ৬ নভেম্বর দুপুরে ইসলামী ঐক্যজোটসহ ধর্মীয় অন্যান্য দল এবং বিকালে বাম গণতান্ত্রিক জোট।




Discussion about this post