‘আন্দোলনকারী নার্সদের ওপর সামান্য লাঠিচার্জ হয়েছে, তবে গর্ভপাত হওয়ার মতো লাঠিচার্জ করা হয়নি’ বলে জানিয়েছেন ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম। উল্টো নার্সরাই পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জেই আন্দোলনকারী নার্স সালমা আক্তারের (২৭) গর্ভপাত হয়েছে- নার্সদের এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে ওসি নূরে আজম বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করতে এসে আন্দোলনরত নার্সরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে হাল্কা লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারো ওপর গর্ভপাত হওয়ার মতো কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি।’
এর আগে মঙ্গলবার (০১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আন্দোলনরত নার্সদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সালমাসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সালমা ৩ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
এর পর আহতাবস্থায় সালমাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে সালমার রক্তক্ষরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোহরাওয়ারদী হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি আবাসিক সার্জন ফাবিয়া ইমদাদ। তবে পুলিশের লাঠিচার্জে গর্ভপাতের বিষয়টি সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট করেননি তিনি।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল সূত্র জানায়, মিডিয়ার চোখ এড়াতেই সালমাকে সোহরাওয়ার্দী থেকে ধানমণ্ডি ১৫ নম্বরের ইবনে-সিনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন ওখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রের ধারণানুযায়ী, পুলিশ প্রশাসনের অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখতেই হয়তো সালমার গর্ভপাতের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় হয়তো সালমাকে খুব দ্রুতই সোহরাওয়ার্দী থেকে ইবনে-সিনায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাসের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখতে না পেয়ে তার বাসভবন ঘেরাওয়ে যায় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি।



Discussion about this post