গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের অটো স্পিনিং মিলের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ধনুয়া এলাকার জয়নালের ছেলে আনোয়ার, শামসুল হকের ছেলে সেলিম কবির ও হাসান আলীর ছেলে শাহজালাল। এবং রাসেল আহমেদ নামে এক নিরাপত্তাকর্মী।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে একে একে তিনটি অঙ্গার দেহ উদ্ধার করে আনা হয়। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারজন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কারখানায় লাগা আগুনে রাসেল নামের এক ব্যক্তি মারা যান। আগুনের ঘটনায় চার শ্রমিক নিখোঁজ ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, বুধবার ভোরে কারখানার ভেতর থেকে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া লাশগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে অটো স্পিনিং মিল নামে একটি কারখানার তুলার গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষা নয়নপুর এলাকার ওই কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ।
আগুন লাগার পর দমকল বাহিনীর ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আশপাশে কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদ হাসান জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়ার দাগ রয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখন থেকে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুর হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর শ্রীপুর ও ভালুকার সাতটি ইউনিট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনে গুদামে থাকা তুলা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। তবে পানি সংকট ও কারখানার অভ্যন্তরীণ রাস্তার সংকীর্ণ হওয়াতে আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
সড়কের অপর প্রান্ত থেকে পানি আনার জন্য পানি সরবরাহের পাইপে যেন কোনোরকম বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, সড়কের অপর প্রান্ত থেকে পানি আনার জন্য পানি সরবরাহের পাইপে যেন কোনোরকম বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
Discussion about this post