সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলতে অথবা জাতীয় ঈদগাহ থেকে যেন দেখা না যায়, তার ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত আলোচনায় এ প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মন্ত্রিপরিষদে অংশ নেওয়া চারজন সিনিয়র মন্ত্রী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সভায় এক অনির্ধারিত আলোচনায় হাইকোর্টের সামনে স্থাপিত জাস্টিসিয়া বা ন্যায় বিচারের প্রতীক থেমিসের ভাস্কর্যের প্রসঙ্গটি ওঠান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, শনিবার জাজেস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করতে গিয়ে আপনি এই ভাস্কর্যটি সরাতে বলেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। একই বিষয়ে আরও কয়েকজন মন্ত্রী কথা বলেন। এক পর্যায়ে আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি খানিকটা বিরক্তির সঙ্গে বলেন, ‘ কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়াই হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের সামনে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের প্রতীক গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য বানালেও সেটিকে আবার শাড়ি পড়ানো হয়েছে। গ্রিক দেবী কি শাড়ি পড়তো নাকি? আর এটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে জাতীয় ঈদগাহ থেকেও চোখে পড়ে। এটি আসলেই দর্শনীয় কোন ভাস্কর্য নয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি গত শনিবার জাজেস কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে একান্তে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি, ভাস্কর্যটি দর্শনীয় হয়নি। এটি নিয়ে বিতর্কও আছে। হয় এটি হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে ফেলুন অথবা এমনভাবে রিপ্লেস (স্থানান্তর) করুন বা ঢেকে দিন যাতে এটি জাতীয় ঈদগাহ থেকে দেখা না যায়। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের সামনে এই ভাস্কর্যটি স্থাপনের প্রতিবাদে বেশ কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে হেফাজতে ইসলামসহ দেশের বেশ কিছু ইসলামি দল। তবে গত সপ্তাহে ইসলামী দলগুলোর শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ বিষয়ে প্রথম মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শনিবার জাসেস কমপ্লেক্স উদ্বোধনের সময়েও এই ভাস্কর্যটি স্থানান্তরের পক্ষে মত দেন তিনি।




Discussion about this post