একে.এম নাজিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩৫ টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। রবিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে চারটার দিকে হাটহাজারী বাসস্টেশনের পূর্বে অলি আহম্মদ মেম্বারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১৫ লক্ষ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে স্থাণীয়রা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অগ্নিদূর্গতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভোর সাড়ে চারটার দিকে প্রবাসী আবদুল্লাহর টিনসেড নির্মিত সেমিপাকা ঘরের একটি খালি কক্ষ থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের আরো ১৬ টি কক্ষে ছড়িয়ে পড়লে পরে পাশ্ববর্তী প্রবাসী নরুল ইসলামের টিনসেড নির্মিত পাকাঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধাঘন্টা পরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে চেস্টা শুরু করে।
কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বায়েজিদ ফায়ার স্টেশনও অগ্নিনির্বাপনে এগিয়ে আসে। হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ২ টি গাড়ী ও বায়েজিদের একটি গাড়ীসহ মোট তিনটি গাড়ী দিয়ে দমকলকর্মীরা প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরণের কাপড় ছাড়া অগ্নিদূর্গতরা কিছুই বের করতে পারেনি। এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ৪৫ টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়।
হাটহাজারী ফায়ার সাভিসের স্টেশন জানা যায়, তারা ভোর ৫ টায় সংবাদ পেয়ে অগ্নিনির্বাপনে ঘটনাস্থলে যায়। পরে বায়েজিদের একটি ইউনিটও আগুন নির্বাপনে এগিয়ে আসে। অগ্নি নির্বাপন করতে গিয়ে আমাদের ফায়ারম্যান আবু জাফরের হাত ঝলসে গেছে। তবে তিনি আশংকামুক্ত রয়েছেন।’
অগ্নিদূর্গত এক ব্যাক্তি কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, প্রবাস থেকে ঘর নির্মাণের জন্য তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ৫ লক্ষ টাকা পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। এরকম প্রায় সবারই নগদ টাকাসহ মূলবান জিনিসপত্র পুড়ে গেছে বলে অগ্নিদূর্গতরা দাবি করেছেন। এখন সবকিছু হারিয়ে অগ্নিদূর্গতরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ম অনুযায়ী অগ্নিদূর্গতদের সহযোগীতা করা হবে।
Discussion about this post