ফরিদ সোবহান, চবি প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের
১০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাদের অাটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন, কনকর্ড গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ:সম্পাদক আনোয়ারুল আলম রকি, সদস্য সাজিদুর রহমান, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রাহি, এবং ইতিহাস বিভাগের শাকিল ও মিজানুর রহমান। একাকার গ্রুপের আটককৃতরা হলেন, ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক ইমাদ আহমেদ সোহেল, উপ-পরিকল্পনা সম্পাদক রাজন ভৌমিক , বাংলা বিভাগের মাসুদ, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের রিয়াদ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের নকিব।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বিডি ল নিউজকে বলেন ” দু ‘ গ্রুপ ছাত্রের মধ্যে মধ্যে সংঘর্ষ ও দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় মোট ১০জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে।”
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে
চবির রেল স্টেশন এলাকায় এ দুই গ্রুপের মধ্যে
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে বিকেল পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা ধাওয়া-
পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকেল
৫টার দিকে শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয় কনকর্ডের কর্মীরা।
এসময় একাকার গ্রুপের কর্মীরা
পার্শ্ববর্তী শাহজালাল হলের সামনে
গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ
সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড ফঁাকা গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
এর আগে দুপুরের সংঘর্ষে ৭ জন আহত
হয়েছেন। হামলায় আহতরা হলেন,
একাকার গ্রপের কর্মী পদার্থবিদ্যা
বিভাগের নিয়াজ আরেফিন,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রাহুল
মজুমদার, রসায়ন বিভাগের মিতুল
চৌধুরী, ভুগোল বিভাগের
রশিদ, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের
জাহিদ এবং আইইআরটি ইনস্টিটিউট এর
মোহাম্মদ বিল্লাল। এদের মধ্যে
নিয়াজ আরেফিন, রাহুল মজুমদার ও
মিতুল চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে।
এছাড়া ও ছোটন নামের কনকর্ডের এক
কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়,
বেলা আড়াইটার দিকে চবি
রেলষ্টেশন এলাকায় কনকর্ড গ্রুপের দশ – বারো
জন কর্মী দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে
একাকারের কর্মীদের ওপর হামলা
চালায়। পরে কনকর্ডের কর্মীরা
আমানত হলে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে
একাকার গ্রুপের কর্মীরাও শাহজালাল
হলের সামনে অবস্থান নেয়। এসময়
উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল
নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময়
টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ।
চবি প্রক্টর সিরাজ উদ্দৌল্লাহ বিডি ল নিউজকে বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে
সমস্যা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে
থেকে বিষয়টি মীমাংসা করার
চেষ্টা করেছি, বিষয়টি প্রশাসনের তদন্তে রয়েছে। ”
উল্লেখ্য, সংঘর্ষকারী উভয় গ্রুপই চট্রগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।




Discussion about this post