নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকারকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জুলফিকার গাজীপুরের হোতাপাড়ার মনিপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও নরসিংদীর শীলমান্দি এলাকার একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।
গতকাল শুক্রবার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে কিশোরীর পরিবারের বরাতে জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসক নরসিংদীর একটি স্যুয়েটার কারখানায় মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ছুটির দিনে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। এ সুবাদে লিভারের রোগী ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে তার উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরির জন্য কোর্স করাতে ওই কিশোরীকে গত ৩১ এপ্রিল চিকিৎসক আশরাফের নরসিংদীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর গত ৪ মে থেকে ওই বাসায় ভুক্তোভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য তাকে হুমকি দেন চিকিৎসক আশরাফ। কিন্তু গতকাল শুক্রবার স্থানীয়রা ঘটনাটি টের পেয়ে পুলিশে খবর দিলে কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি মো. সৈয়দুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকারকে গ্রেফতারের পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
Discussion about this post