কিন্তু চালকের বুদ্ধিমত্তার কারণে লঞ্চটি তীরে ভেড়াতে সক্ষম হওয়ায় যাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষায় পায় বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টার দিকে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী ‘আল্লাহর মসজিদ’ নামে ওই যাত্রীবাহী লঞ্চ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার কালিপুরা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে বালুবাহী বল্কহেডের পেছনের অংশে ধাক্কা লাগে।
এ সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটির সামনের অংশ ফেটে গিয়ে পানি উঠতে শুরু করলে উপর থাকা ৪০ থেকে ৫০ যাত্রী লাফিয়ে পড়ে। এতে তাৎক্ষণিক চালক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে মেঘনার তীরে ভেড়াতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, ঘটনার সময় লঞ্চযাত্রীদেও চিৎকারের শব্দ শুনে গ্রামবাসী ও গজারিয়া থানা পুলিশ এগিয়ে গিয়ে যাত্রীদেও উদ্ধার করার তৎপরতা শুরু করে। লঞ্চটিতে দুই থেকে আড়াই শতাধিক যাত্রী ছিল। বরগুনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হোসেন জানান, লঞ্চডুবির হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে যাত্রীরা। এ ঘটনায় কোনো যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ঢাকার সদরঘাটে যেতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে অপর একটি লঞ্চের মাধ্যমে দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীদের নিজ গন্তব্যে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post