খুলনার তেরখাদার চিকিৎসককে মারধর মামলার ৪ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান বলেন, এজাহারভুক্ত ৪ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
পুলিশ জানায়, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ আবদুল্লা হেল মামুনকে মারধর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তৌহিদ ফকির, নান্নু শেখ, মিরাজ শেখ ও অলিয়ার শেখ তেরখাদা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আরা রহমান’র আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিরা তেরখাদা উপজেলা সদরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।
এদিকে, ৪ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও মামলার প্রধান আসামি তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী’র চিকিৎসা না করায় ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত অবস্থায় তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামান তার সঙ্গীরা মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ আবদুল্লা হেল মামুনকে মারধর করে।
এ ঘটনায় ডা. মামুন বাদী হয়ে অহিদুজ্জামানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ শেখ রানা নামে সন্দেহভাজন এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামানসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে খুলনার চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ সমাবেশ এবং সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রেখে ৪ দিনের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন।




Discussion about this post