প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের উন্নয়নে যে কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত। দেশের মানুষের কল্যাণ করাই তার লক্ষ্য। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত নন।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) এর ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা হয়েছে। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় রক্ষা পেয়েছি। একটা বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকি, যারা আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, আমার কারণে তাদের যেনো কোনও ক্ষতি হয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনা,গুপ্তহত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষকে পুড়িয়ে মারা এ সব ঘটনার ফলে আমার মনে হয় যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি তাদের একটা চক্রান্ত এখানে কাজ করছে।
দেশবাসীকে আমি একটা কথা বলবো জনগণের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণকে নিয়ে এ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা বিভ্রান্তির পথে চলে যাচ্ছে তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশে ধর্মের নামে ধর্মান্ততা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ মানুষকে খুন করছে। তারা নাকি মানুষ খুন করে বেহেশতে গিয়ে হুর পরী পাবে। এটা কোনো যুক্তির কথা নয়। এটা কোরআন শরীফের কথা নয়। কিন্তু এ ধর্মান্ধতা কি করে একজন শিক্ষিত মানুষ যাদের উদার মনোভাব হওয়ার কথা তারা ধর্মান্ধতায় কিভাবে ঝুঁকে যায়। কারা এর পেছনে। আমি আন্তর্জাতিক মহলে এই প্রশ্নটি রেখে এসেছি।
কারা এদের প্রশিক্ষণ দেয়, কারা অস্ত্রদেয় তাদের বের করতে হবে, বলেন শেখ হাসিনা।
প্রতিটি বাহিনীকে প্রযুক্তিতে পারদর্শীতা অর্জনের আহ্বান
প্রতিটি বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শীতা অর্জনেরও তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাহিনীগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিটি বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জন, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু প্রযুক্তি ব্যবহার বেড়ে গেছে। জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদের দিক থেকেও। সেক্ষেত্রে আমাদেরকেও নিরাপত্তা প্রশিক্ষন নিতে হবে, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শীতা অর্জন করতে হবে।’
‘এটার জন্য যা যা প্রয়োজন অবশ্যই আমাদের সরকার তা করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশেও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের ধরন পাল্টাচ্ছে। আমাদেরও এসব বিষয়ে আরো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি বাহিনীকে আরো সচেতন হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি আর্ত-সামাজিক উন্নয়নের কাজে লাগছে, মানুষের কল্যানেও কাজে লাগছে সেই সাথে সাথে ধ্বংসাত্মক কাজেও কিন্তু এই প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এসএসএফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সফিকুর রহমান।
মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।




Discussion about this post