জাপানে ছুরি হাতে এক ব্যাক্তির হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪৫ জন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার টোকিওয়র দক্ষিণের সাগামিরাহে সরকারি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সূত্র বিবিসি।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ২০ এর কাছাকাছি। পুলিশ সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে সাতোশি ইমাৎসো নামে ২৬ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ওই সেবা কেন্দ্রের সাবেক কর্মী।
পুলিশ এই আক্রমণের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি। স্থানীয় সময় আড়াইটার দিকে এই হামলা শুরু হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর হামলাকারী নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
তবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে হামলাকারী জানিয়েছে, ‘আমি এই দুনিয়া প্রতিবন্ধীমুক্ত করতে চাই।’ হামলাকারী যুবক প্রতিবন্ধীদের সুবিধা কেন্দ্রের সাবেক কর্মী বলেও জানিয়েছে তারা।
হামলার পর ঘটনাস্থলে ২৯টি জরুরি চিকিৎসক দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা কিয়োডোর। জরুরি অবস্থা মোকাবিলাকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, হামলায় ৪৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় এক কর্মীর বরাত দিয়ে এনএইচকে জানিয়েছে, সাগামি নদীর বনবেষ্টিত তীরে সাড়ে ৭ একরের বেশি জমির উপর নির্মিত ও সরকারের অধীনে পরিচালিত ওই সেবাকেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়া হয়। সেখানে সর্বোচ্চ ১৫০ জন মানুষের থাকার সুব্যবস্থা ছিল।
তবে জাপানে এ ধরনের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড খুব একটা দেখা যায় না। এর আগে ২০০১ সালে একই তারিখে একটি স্কুলে আট শিশুকে ছুরি চালিয়ে হত্যা করে এক প্রতিবন্ধী।
Discussion about this post