বিডিলনিউজঃ
শিবিরের বোমা তৈরির অন্যতম বড় কারখানাটি কল্যাণপুরে সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে ৫ বছর ধরে বোমা তৈরি করছিল ছাত্র শিবির। কারখানা থেকে বিশেষ ডায়েরি, রগকাটার মেশিন, পরকালের পাসপোর্ট, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, জিহাদি বইসহ নানা ধরনের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রাজধানীর কল্যাণপুরের ২ নম্বর সড়কে ২৭ নম্বর (৫তলা) বাড়ির ছাদে বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। কারখানা থেকে বেহেশতের পাসপোর্ট নামের বই, তিন ধরনের ৬ কেজি বিস্ফোরক, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় খালিদ (৪০) ও সাজিদ (৩৫) নামে দুজনকে। পরে আবার বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ছাত্রশিবিরের বিশেষ ডায়েরি, রগকাটার মেশিনসহ নানা আলামত। রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদকারী এক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বাড়ির মালিক ইউসুফ আলী। তার স্ত্রী ও এক সন্তান সৌদি আরব প্রবাসী। ৫ বছর আগে বাড়ির মালিক ৫তলার ২টি রুম ছাত্র শিবিরের কাছে ভাড়া দেন। ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি জেনেই ভাড়া দেন। ৫ বছর ধরে রুম দুটি বোমা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করছে ছাত্রশিবির। কারখানায় তৈরি বহু বোমা রাজধানীতে নাশকতা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বাড়ির মালিক ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া আইন মানেননি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এটি ছাত্রশিবিরের অন্যতম বোমা তৈরির কারখানা ছিল।
এ ব্যাপারে মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বর্তমানকে জানান, কারখানা থেকে একটি বিশেষ ডায়েরি ও রগকাটার মেশিন উদ্ধার হয়েছে। ডায়েরির লেখা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, ঢাকায় জামায়াত-শিবির অতিমাত্রায় তত্পর। তারা নিয়মিত মিটিং করে। ডায়েরিটিতে ছাত্রশিবিরের কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে লেখা রয়েছে। বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
Discussion about this post