নিজস্ব প্রতিবেদক: জালিয়াতি মামলার আসামি না হয়েও শুধু পুলিশের ভুলে জাহালম নামে এক ব্যক্তি তিন বছর সাজা ভোগ করেন। জাহালমের মতো আরও দুই একজনেরও তথ্য আছে। তবে এবার জাহালম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কামাল হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিক।
বিনা অপরাধে পুলিশি নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে এলে রক্ষা পান কামাল হোসেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিসহ পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩০ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় থেকে কামালকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানার এএসআই জাকারিয়া। চার্জশিটভুক্ত এক আসামির সঙ্গে শুধু নাম ও বাবার নাম মিল থাকায় থানায় আটকে রেখে কামাল হোসেনকে হয়রানি করেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরে ভুল আসামি ধরার সত্যতা পাওয়ায় ওসির নির্দেশে নিরীহ কামাল হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের একটি মাদক মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামির নাম মো. কামাল। বাবার নাম মনির। নিরীহ কামাল হোসেনের বাবার নামও মনির হোসেন। কিন্তু মেকানিক কামালের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানাসহ ডিএমপির কোনো থানায় কোনো মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরিরও (জিডি) তথ্য পায়নি পুলিশ।
পরে ওসির নির্দেশে থানা থেকে ছাড়া পেলেও গত রোববার রাতে আবারও কামাল হোসেনকে হেনস্তা করেন মোহাম্মদপুর থানার আরেক এএসআই আলমগীর। পরে এই পুলিশ কর্মকর্তাও শুধু নামের দোহাই দিয়ে কৌশলে ‘ঘুষ’ দাবি করেন। এ ঘটনার সমালোচনা হতে থাকায় বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলামকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয় ডিএমপি।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করে ডিসি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।




Discussion about this post